* টিএমসিতে আবশ্যক নতুন মুখ।

* জনপ্রিয়তা হ্রাস সুদীপ রায় বর্মনের ।

* বিজেপিকে হটাতে দরকার বৃহত্তর জোট ।

* প্রদ্যুতই পাহাড় রাজনীতির মধ্যাকর্ষণ শক্তি।


* এই মুহূর্তে বিপ্লব দেবকে টলানো অসম্ভব।




ডেস্ক রিপোর্টার,২৪ জুলাই:

“ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি”বা
“আই-পেক”–তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের টিম।
গত কয়েকদিন ধরে “আই-পেক” চষে বেড়াচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে।কথা বলছে বিভিন্ন পেশার লোকজনের সঙ্গেও।বুঝার চেষ্টা করছে রাজ্য রাজনীতির গতিবিধি।
রাজ্যে অবস্থানরত “আই-পেকে”র টিম লিডার শিবেন সিং।তাঁর নেতৃত্বে দশ জনের দলটি চক্কর কাটছে রাজ্য জুড়ে। ইতিমধ্যে মধ্যে রাজ্যের আট জেলাতেই “প্রথম রাউন্ডে”র কার্যকলাপ শেষ করেছে।আরো দুই রাউন্ডের কাজ শেষ করেই রাজ্য ত্যাগ করবে পিকে’র টিম “আই-পেক”।
আই-পেকে’র ভোট কৌশলীরা রাজ্যে ঘুরে কি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন? তার ব্যাখ্যা দিয়েছে পিকে’র টিম।”আই-প
পেকে”র ভোট কৌশলীরা জানিয়েছেন,”রাজ্যে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হওয়া বইছে। এটাকে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন বিকল্প রাজনৈতিক দল ও নেতা।কিন্তু এই মূহুর্তে রাজ্যের বিজেপিকে টলানোর মত কোনো রাজনৈতিক শক্তি নেই।”

ভোট কৌশলীদের সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্য বলছে, “বিরোধী দলগুলিতে নেই কোনো জনপ্রিয় গ্রহণযোগ্য নেতা। যিনি একক প্রচেষ্টায় বিজেপি’র মেরুদন্ড ভেঙে দিতে পারে।তবে পাহাড়ি অঞ্চলে প্রদ্যুত এখন ‘মহীরুহ’।” অর্থাৎ পিকের টিম বুঝিয়ে দিলো তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুত এখন রাজ্য রাজনীতির অন্যতম মধ্যাকর্ষণ শক্তি।
বিজেপি’র সংস্কারপন্থী বিধায়ক দলের নেতা সুদীপ রায় বর্মনের জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গে পিকের টিমের বক্তব্য, ” সুদীপ রায় বর্মন একজন ভাল নেতা।কিন্তু দিন দিন তাঁর জনপ্রিয়তা হ্রাস পাচ্ছে।কারণ বড় অংশের মানুষ সুদীপের উপর আগের মত আস্থা রাখতে পাচ্ছে না। কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেস, তারপর বিজেপিতে। সুদীপ রায় বর্মনের এই রাজনৈতিক চলন-গমন বড় অংশের মানুষ মেনে নিতে পারেনি।তাঁর নির্দিষ্ট সংখ্যক অনুগামীরাই সুদীপের জন প্রিয়তার গ্রাফ ধরে রেখেছে।রাজ্য জুড়ে এই সংখ্যা খুব বেশি নয়।”
ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা “আই-পেক”র প্রতিনিধিদের দাবি, রাজ্যের মানুষ বিকল্প হিসেবে বামফ্রন্টকে নয়,চাইছে তৃণমূলকে। তৃণমূলের উর্বর জমিও রয়েছে রাজ্যে।কিন্তু নেতৃত্বের অভাব। বিজেপি’র বিদ্রোহী গোষ্ঠির নেতাদের উপরও আস্থা রাখতে পারছে না মানুষ।এক্ষেত্রে তৃনমূলকে মাথা তুলে দাঁড়াতে গেলে প্রয়োজন সম্পুর্ন “নতুন মুখ”।যার বিরুদ্ধে শাসক দল কথা বলার কোনো জায়গা পাবে না।এই নতুন মুখকে পেছন থেকে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নেতারা ( দলত্যাগীরা) সাহায্য করতে হবে।তবেই তৃণমূলের পক্ষে ত্রিপুরার মাটিতে নিজস্ব শক্তি সঞ্চয় করে বাদবাকি অবিজেপি দলগুলির সাহায্য নিয়ে বিজেপিকে চাপে ফেলা সম্ভব হবে।
প্রশান্ত কিশোরের টিম আই-পেকের সমীক্ষা সংক্রান্ত খবর প্রদেশ তৃণমূলের গর্ভগৃহ থেকে তুলে ধরেছেন দলীয় নেতৃত্ব।পিকের টিমের রিপোর্ট হাতে পেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরার জন্য কি রণকৌশল তৈরি করেন তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষ করছে প্রদেশ তৃণমূল নেতৃত্ব।

3 thought on “রাজ্যর বর্তমান রাজনৈতিক<br>পরিস্থিতি নিয়ে পিকে’র টিম<br> “আই-পেক”র সমীক্ষা”
  1. বিজেপি কে হারানো অসম্ভব।
    কাজের নিরিখে। কিন্তু সংগঠনের জোর দিতে হবে। সংগঠন চলছে লাগাম ছারা। দলিয় ক্লাসসের দরকার আছে। বিভিন্ন জায়গায় আজকে ভূল লোক দ্বারা দল পরিচালিত হচ্ছে।……………..

Leave a Reply to MR. ANGLAJAI MOG Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *