ডেস্ক রিপোর্টার,২৫ এপ্রিল।।
মা-সন্তানের সম্পর্ককে কোনো বন্ধনীর মধ্যে রাখা যায় না। সন্তান মায়ের গর্ভজাত হোক বা পালিত। বা কোনো মা তার সন্তান সম কাউকে জড়িয়ে ধরোক! মা-সন্তানের এই পবিত্র সম্পর্ক অদিগন্ত।
পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর ডাক মা। মায়ের কোনো তুলনা হয় না। সন্তানের জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা, তাকে দেখাশোনা, তাকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা- সব, মায়ের হাতেই হাতেখড়ি। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এই সম্পর্ক সৃষ্টির শুরু থেকেই। মা হাজার ব্যস্ত থাকলেও সন্তানের জন্য থাকে তার অফুরন্ত সময়। মা তার সন্তানকে তার সর্বোচ্চ দিয়ে ভালোবাসেন।

রবিবার রাজধানীতে দেখা গেলো এক মা ও ছেলের এমনই এক মধুর সম্পর্ক। এক্ষেত্রেও মা তাঁর সর্বোচ্চ ভালোবাসা দিয়ে নিজ হাতেই বিস্কুট খাইয়ে দিয়েছেন ছেলেকে। ছেলেও যেন আপন ভোলা মনে খেয়ে নিলেন বিস্কুট। এই দৃশ্য সাক্ষী হয়ে থাকলো রাজ্য রাজনীতিতে।
এখানে মা একজন অন্ত্যোদয় শ্রেনীর (বিপিএল কার্ড হোল্ডার)। আর ছেলে রাজ্যের সর্বময় কর্তা।তাঁর আছে নানান সরকারী প্রটোকল। কিন্তু মায়ের হাতের বিস্কুট খাওয়ার জন্য ছেলের বালাই ছিলো না কোনো প্রটোকলের। এটাই বোধহয় সৃষ্টি থেকে শুরু হওয়া মা-ছেলের মধুর সম্পর্ক। এখানে নেই কোনো বাঁধন। নেই কোনো প্রটোকলেই গেনগেনানী।

এখানে “সর্বময় কর্তা” হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী ক্ষেত্র বনমালীপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। তিনি কথা বলেন নগরের নাগরিকদের সঙ্গে। নগরের নাগরিক পরিষেবা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ওয়ার্ড পরিদর্শনে মত বিনিময়ের সময় এক মহিলা হাতে বিস্কুট নিয়ে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রীর সামনে। হাতে থাকা প্লেট থেকে মহিলা বিস্কুট তুলে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে দেন। সরকারী প্রটোকলকে ছাইচাপা দিয়ে মায়ের (জনৈক মহিলা) দেওয়া বিস্কুট খেয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী। মায়ের হাতে থাকা অবশিষ্ট বিস্কুটের অংশও আনন্দ ভরে খেয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই সংক্রান্ত ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি বলেন, “আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যশালী যে আজ একজন অন্ত্যোদয় শ্রেনীর (বিপিএল কার্ড হোল্ডার) মা’র হাত থেকে বিস্কুট খেতে পারলাম। আমি আপনাদের এই স্নেহ ও ভালোবাসার প্রতি সর্বদা ঋণী থাকবো। আপনাদের এই ভালোবাসাই আমাকে রাজ্যবাসীর সেবায় কাজ করে যেতে উৎসাহ প্রদান করে।”
আর সেই মা, ভালোবাসা মাখানো বিস্কুট খেতে দিয়ে নিশ্চয় তৃপ্তি পাচ্ছেন। আশীর্বাদ করে কামনা করছেন আগামীদিনে ছেলের কণ্টকহীন পথ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *