ডেস্ক রিপোর্টার,২৪ডিসেম্বর।।
রাজ্যে এখন পর্যন্ত ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে রাজ্যের সকলকে সতর্ক এবং সচেতন থাকতে হবে। শুক্রবার সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে জানাতে গিয়ে তিনি একথা বলেছেন।
মন্ত্রী বলেন, বিগত দিনে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে কোভিড-১৯ অতিমারীকে যেভাবে মোকাবেলা করা হয়েছিলো, একইভাবে কোভিড-১৯ নিয়মাবলী মেনে আগামীদিনে যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সজাগ এবং সতর্ক থাকতে হবে রাজ্যের মানুষকে।
মন্ত্রীর বক্তব্য, এখন পর্যন্ত ত্রিপুরাতে আসা ৬৯ জন বিদেশ যাত্রীর মধ্যে ৩৩ জনের ওমিক্রন সনাক্ত করার জন্য হোল জিনোম সিকুয়েন্সিং পরীক্ষা করা হয়েছে। যারা ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে এসেছিলেন তাদের মধ্যে ৩১ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বাকি দুইজনের রিপোর্ট এখনও আসেনি। তিনি বলেন, বর্তমানে রাজ্যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সনাক্ত করার মতো সুবিধা রাজ্যে নেই।তাই পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিকেল অ্যান্ড মলিকুলার স্টাডিসে নমুনা পাঠানো হয় এখন।
সাংবাদিক বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নমুনা পরীক্ষা করার পদ্ধতি হোল জিনোম সিকুয়েন্সিং মেশিন বসানোর ব্যবস্থা জিবি হাসপাতালে করা হবে। এরজন্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরাহিত্যে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ওমিক্রন নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুসারে প্রত্যেক রাজ্যকে কোভিড বিধি সংক্রান্ত সতকর্তা জারি করার নির্দেশ কেন্দ্র।
কেন্দ্রের নির্দেশানুসারে ত্রিপুরাতেও ওমিক্রন সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের পৌরোহিত্যে এবং মুখ্যসচিবের পৌরাহিত্যে পৃথকভাবে দুটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্যে কোভিড স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এখন যথেষ্ট ভালো। যেহেতু এখন পর্যন্ত ত্রিপুরাতে ওমিক্রন রোগী পাওয়া যায়নি। তাই অযথা উদ্বেগ বা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তাই রাজ্য সরকারের নৈশকার্ফু জারি করার পরিকল্পনা আপাতত নেই।
মন্ত্রীর বক্তব্য, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে সারা রাজ্যে কোভিড বিধিনিষেধ সংক্রান্ত বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি রাজ্যবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, আসন্ন বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষের আনন্দ উৎসব উপভোগ করার পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক এবং সচেতন থাকতে হবে এবং কোভিড বিধিনিষেধ অবশ্যই মেনে চলার পরামর্শ দেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে এনএইচএম-এর অধিকর্তা ডাঃ সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল রাজ্যের যে সকল নাগরিক কোভিডের দ্বিতীয় ডোজ এখন পর্যন্ত নেননি তাদের প্রতি অতি সত্বর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানান। কোভিড সার্ভিলেন্স অফিসার ডাঃ দীপ দেববর্মা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব অনিন্দ্য কুমার ভট্টাচার্য্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *