ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার রাজ্য সফরের প্রাক লগ্নে চমক দিলো গেরুয়া শিবির। নতুন রাজ্য সভাপতি হিসাবে রাজীব ভট্টাচার্যর নাম ঘোষনা করলো ভাজপা।প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, দলের সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মন,মন্ত্রী রামপ্রসাদ পালকে পেছনে ঠেলে রাজ্য সভাপতির মিউজিক্যাল চেয়ারে বসলেন রাজীব ভট্টাচার্য।তবে প্রথম থেকে সভাপতির দৌঁড়ে ছিলো রাজীব ভট্টাচার্য্যের নাম। শেষ পর্যন্ত ভাজপার সর্ব ভারতীয় নেতৃত্ব রাজীব ভট্টাচার্য্যের নামে দিলো সিলমোহর।


রাজীব ভট্টাচার্য্যের নাম সভাপতি হিসাবে ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোল শুরু হয়।দলের অনেক কর্মী, সমর্থক এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি।বিশেষ ভাবে মন্ত্রী রাম প্রসাদ পালের অনুগামীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা হতাশা সুর ব্যক্ত করে। অর্থাৎ ডা:মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করার পর রাম প্রসাদ সাহা তার অনুগামীরা যেভাবে সমালোচনায় সরব হয়েছিলো,এবারও ব্যতিক্রম নয়।তবে এবারের কৌশল একটু অন্যরকম।তারা অনেক বেশি সংযত হয়েই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সুর ছড়িয়েছে।

বিজেপির সদর কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক।

রাজীব ভট্টাচার্য্য রাজ্য সভাপতি হওয়াতে খুশির হাওয়া বনমালীপুর কেন্দ্রের বিজেপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে।কারণ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব বনমালী পুর কেন্দ্রের বিধায়ক।এবার রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যও বনমালী পুর কেন্দ্রের।সভাপতি হিসাবে রাজীব ভট্টাচার্য্যের নাম ঘোষণা হওয়ার পর তাঁকে অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী ডা:মানিক সাহা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, রাজ্য বিজেপির প্রভারী বিনোদ শোনকর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, মন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল ,রাজ্য বিজেপির সহ – সভাপতি অমিত রক্ষিত সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

বিজেপির অন্দর মহলের খবর, রাজীব ভট্টাচার্য্যকে সভাপতি করাতে দলের আন্দরেও পুঞ্জিভূত ক্ষোভ পরিলক্ষিত হয়েছে।কিশোর বর্মনকে সভাপতি করার জন্য চেষ্টা করেছিল দলের একাংশ। কিশোরের অনুগামীরাও নিশ্চিত ছিলো তাদের নেতাকেই করা হবে সভাপতি।কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আস্থা রাখলেন রাজীব ভট্টাচার্য্যের উপর।রাজীব ভট্টাচার্য্য দীর্ঘ দিনের কর্মী।টানা বাম জামানায় তিনি লড়াই করেছেন।২০১৮- র বিধানসভা নির্বাচনে তিনি নিয়েছিলেন গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা।অবশেষে তাকে যোগ্য সন্মান দিয়েছে বিজেপির দিল্লি নেতৃত্ব।এমনটাই বলছে রাজীবের ঘনিষ্ঠরা।
রাজনীতিকরা বলছেন, নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সভাপতি নিযুক্ত করে দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ২৩র আগে নয়া বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্যের মানুষকে।এবার মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা এবং সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য্যের উপর গুরু্ দায়িত্ব বর্তেছে। চ্যালেঞ্জও বটে।
রাজনীতিকদের কথায়, রাজ্য জুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বইছে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হওয়া। এই হওয়াকে কাজে লাগিয়ে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে এক মঞ্চে আসতে চলছে সব কয়টি বিরোধী দল।যদি আনুষ্ঠানিক ভাবে বিরোধীরা এক মঞ্চে চলে আসে,তাহলে প্রচন্ড বেগ পোহাতে হবে বিজেপিকে।এমনটাই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এই পরিস্থিতি থেকে দলকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার জন্য দায়িত্ব বর্তালো মুখ্যমন্ত্রী ডা:মানিক সাহা ও রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য্যের উপর। এটা অবশ্যই দুইজনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বড় চ্যালেঞ্জ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *