ডেস্ক রিপোর্টার,২৭জুলাই:
হাস্যকর। রাষ্ট্রপতি কালার্স পদক পাওয়া রাজ্য পুলিশের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে অম্পি থানার পুলিশ।
কনস্টেবলের খোয়া যাওয়া হাতিয়ার উদ্ধার করতে রাজ্যের তথাকথিত নেটওয়ার্ক সমবৃদ্ধ
পুলিশ আশ্রয় নিলো ” কুসংস্কারে”র। প্রকাশ্যে দিলো “বাটি চালান।” ভাবতেও অবাক লাগে রাজ্য পুলিশের এই কান্ড কারখানা দেখে।

অম্পি থানাধীন চেচুয়া আউটপোস্ট। সোমবার রাতে চেচুয়া বাজার এলাকায় ডিউটির দায়িত্ব বর্তায় এক কনস্টেবল ও তিনজন এসপিও জওয়ানের। কর্তব্য পুলিশ কনস্টেবলের হাতে ছিলো এসএলআর।রাতে নাকা পয়েন্টের সামনে ডিউটির সময় হাতিয়ার রেখে কনস্টেবল ও তিন এসপিও জওয়ান ঘুমিয়ে পড়েন।এই সময় কে বা কারা কর্তব্যরত কনস্টেবলের এসএলআর রাইফেলটি নিয়ে যায়। ঘুমের আবেশে থাকা কনস্টেবল সহ এসপিও জওয়ানরা তা বুঝতেই পারেন নি।পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই কথা জানিয়েছেন হাতিয়ার খোয়া যাওয়া কনস্টেবল।
মঙ্গলবার সকালে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোমতী জেলের পুলিশ সুপার সহ পদস্থ আধিকারিকরা ছুটে যান চেচুয়া আউট পোস্টে। সেখানে গিয়ে প্রথমে কনস্টেবল ও এসপিও জওয়ানদের জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের পর হাতিয়ার উদ্ধারের অভিনব পন্থা অবলম্বন করে পুলিশ। গ্রামের এক ওঝাঁকে ডেকে পাঠায় পুলিশ।
ওঝা এসে বলেন খোয়া যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব।তবে তারজন্য দিতে হবে “বাটি চালান”। চালান দেওয়া বাটি হারিয়ে যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র’র সন্ধান দেবে। ওঝার কথায় “মন” ধরে জেলা পুলিশের এসপি সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের।ব্যাস, তাই হবে।
গোমতী জেলার এসপির সামনেই ওঝা খোয়া যাওয়া এসএলআর উদ্ধারের জন্য “বাটি চালান” দেন। পুলিশও উৎসাহ ভরে দেখেন ‘বাটি চালান’। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অস্ত্রের সন্ধান দিতে ব্যর্থ হয় চালান দেওয়া ‘বাটি’।
অপরাধ সংক্রান্ত বিশ্লেষকরা বলছেন,আসলে পুলিশকে ইচ্ছাকৃত ভাবেই কি থমকে দিয়েছিলো অস্ত্র গায়েবের কাজে জড়িত কু-চক্রীরা? পুলিশ যে সময় ‘বাটি চালানে’র কাজে ব্যস্ত ছিল,তখন অপরাধীরা খোয়া যাওয়া অস্ত্রটিকে আরো নিরাপদে নিয়ে যাওয়া সুযোগ পেয়ে যায়।
যদিও পুলিশ বাটি চালানে ব্যর্থ হয়ে কনস্টেবল সহ তিন এসপিও জওয়ানকে গ্রেফতার করে।এবং টানা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।তবে মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত অস্ত্রের কোনো সন্ধান পায়নি পুলিশ।তবে কনস্টেবল ও এসপিও জওয়ানদের কথাবার্তার মধ্যেও অসংলগ্নতা। অনুসন্ধানকারী পুলিশের ধারণা, কনস্টেবল ও তিন এসপিও জওয়ান এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে।কারণ খোয়া যাওয়া এসএলআর সম্পর্কে তাদের বানানো স্ক্রিপ্টও বোধগম্য হচ্ছে না খোদ তদন্তকারী পুলিশের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *