ডেস্ক রিপোর্টার,২৭জুলাই।।
দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষের রাজ্য সফর ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে প্রদেশ বিজেপির অন্দর মহলে। বিএল সন্তোষের রাজ্য সফরে প্রদেশ বিজেপির অন্দরে বেশ কিছু ক্ষেত্রে বড় রকমের পরিবর্তন যে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রথমত ২৩র বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রদেশ সভাপতি মনোনীত করা বি এল সন্তোষের প্রথম কাজ। তার জন্য মঙ্গলবার রাজ্যে এসেই বি এল সন্তোষ দফায় দফায় বৈঠক করেন প্রদেশ বিজেপির সদর দপ্তরে। এদিন বি এল সন্তোষ প্রথম বৈঠক করেন প্রতিটি জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে। এরপর তিনি বৈঠকে বসেন দলের সাংসদ,মন্ত্রী ও বিধায়কদের সঙ্গে। সর্বশেষে তিনি বৈঠক করেন রাজ্য কমিটির সদস্যদের সঙ্গে।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপির প্রভারী বিনোদ শোনকর, মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। বৈঠকে সাংগঠনিক নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বিএল সন্তোষ। খবর অনুযায়ী, এদিনের বৈঠকে বি এল সন্তোষ প্রদেশ বিজেপির নেতৃত্বের কাছ থেকে জানতে চান কাকে পরবর্তী সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা যায়?
বিজেপির অন্দরমহলের খবর, ২৩র ভোট যুদ্ধে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকেই সভাপতি হিসেবে দেখতে চাইছেন দলের অধিকাংশ নেতৃত্ব। তাদের দাবি, বিপ্লব কুমার দেব প্রদেশ সভাপতি দায়িত্বে থাকলেই খুব সহজেই উৎরে যাওয়া সম্ভব হবে ২৩র ভোট বৈতরণী। প্রদেশ নেতৃত্বের এই বক্তব্যকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখেছেন বিএল সন্তোষ। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ছাড়াও প্রদেশ সভাপতির দৌড়ে রয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মন ও মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল। বুধবারেও বি এল সন্তোষ রাজ্যে অবস্থান করবেন। এবং করবেন বৈঠক। এরপর তিনি চলে যাবেন দিল্লিতে। সেখানে গিয়েই রাজ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের রিপোর্ট পেশ করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে। এরপরই দিল্লি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদেশ বিজেপির নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করবে।
এদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে দল ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করে দেবে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই খবরের প্রেক্ষিতে প্রদেশ বিজেপির প্রভারী বিনোদ শোনকর জানিয়েছেন, “দলীয়ভাবে তাঁর কাছে এই সংক্রান্ত কোনো খবর নেই।” বিপ্লব ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য,প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে বিভিন্ন মহল। দল থেকে বহিষ্কারের খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো।ভিত্তিহীন। বিপ্লব অনুগামীদের দাবি,যদি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দল থেকে বহিষ্কার করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাহলে, তাকে এতটা গুরুত্ব দেওয়া হতো না।
বি এল সন্তোষের রাজ্য সফরে রাজ্যসভার সাংসদ বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। রাজ্যসভার সাংসদ করার জন্য দলের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি নাম উঠে এসেছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোন নামেই চূড়ান্ত করেনি নেতৃত্ব। বিএল সন্তোষ দিল্লিতে গিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।