ডেস্ক রিপোর্টার,২৮জুলাই।।
রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন সমাপ্ত হতেই চুপসে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। ঝা চকচকে অট্টালিকা সমেত অফিস বাড়ি তৈরি করলেও প্রদেশ তৃণমূলের হালের কোন পরিবর্তন হয়নি। প্রতিদিন দলের সংগঠন ভাঙতে শুরু করেছে। দলের নেতা, কর্মী- সমর্থকরা ছুটছে বিজেপি ও কংগ্রেসের দিকে। বাংলার মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কেলেঙ্কারির ঘটনা তৃণমূল কংগ্রেসকে আরো ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। পার্থর ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রদেশ তৃণমূল নেতৃত্ব এখন বালিতে মুখ লুকানো জায়গা পাচ্ছে না।
দলীয় কর্মীদের অভিযোগ, রাজধানীতে দলীয় কার্যালয় তৈরি করলেও নেতা – কর্মীদের মধ্যে নেই কোনো উৎসাহ। গুটি কয়েকজন নেতা – কর্মী আসে দলীয় কার্যালয়ে।প্রদেশ কমিটির সভাপতি সুবল ভৌমিক নিজের বাড়িতে বসেই চালান দলের কাজকর্ম।দলীয় কার্যালয়ে তিনি পাও মারান না। স্বাভাবিক ভাবেই দলের নেতা – কর্মীদের মধ্যে হতাশার পাহাড় তৈরি হচ্ছে। তারা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছে, তৃণমূল কংগ্রেসে থেকে তাদের পক্ষে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার তৈরি করা সম্ভব হবে না।
সদ্য সমাপ্ত পুর ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস মাত্র ২.৮ শতাংশের কিছুটা অধিক ভোট পেয়েছে।চার কেন্দ্রেই দলীয় প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দলীয় প্রার্থীদের নিজ নিজ কেন্দ্রে কোনো জনপ্রিয়তা ছিল না। গতি ছিল না দলেরও। তৃণমূল সূত্রের খবর, উপ নির্বাচনে দলের চার কেন্দ্রের চার প্রার্থীকে মোট ৪৮লক্ষ্ টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রতি প্রার্থীর মাথা পিছু ১২লক্ষ্ টাকা করে ।কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের পুরো টাকা জলে। রাজধানীর দুই কেন্দ্রের প্রার্থী পান্না দেব ও সংগীতা ব্যানার্জি এক হাজার ভোট পাননি। যুবরাজ নগর ও সুরমা কেন্দ্রের প্রার্থীরা কোনো রকমে এক হাজার ভোটের গণ্ডি অতিক্রম করেছেন। কিন্তু এলাকায় তাদেরও কোনো জন ভিত্তি নেই।এই ভোট পরিসংখ্যান প্রমাণ করে রাজ্যের মাটিতে তৃণমূল কংগ্রেসের ভীত খুব নড়বড়ে।পুর ও নগর ভোটে মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলো।কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্ব তা ধরে রাখতে পারেনি।তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত উপ ভোটের ফ্লপ শো।আগামী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের অট্টালিকা সমেত অফিসে ধূপবাতি দেওয়ার লোক থাকবে কিনা, তা নিয়ে খোদ সন্দেহ প্রকাশ করছেন রাজনীতিক বিশারদরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *