Site icon জনতার মশাল

Breaking: রাজ্যের যুবকদের হাতে বন্দুক তুলে দিয়েছিলো কমিউনিষ্টরা: অমিত শাহ

ডেস্ক রিপোর্টার, ১৫ এপ্রিল।।
          ” কমিউনিষ্টরা যুবাদের হাতে বন্দুক তুলে দিয়েছে। আর নরেন্দ্র মোদী দিয়েছে ল্যাবটপ”- বক্তা অমিত শাহ। সোমবার কুমারঘাটে বিজেপির প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে একথা বলেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিনের জনসভায় অমিত শাহ তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন কংগ্রেস ও কমিউনিষ্টদের। তিনি তুলে ধরেন মোদী সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি।
        অমিত শাহ তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বলেন, “আধুনিক ত্রিপুরার স্রষ্টা মহারাজা বীর বিক্রমকে পর্দার আড়ালে রেখে দিয়েছিল কমিউনিষ্টরা।মানুষের মন থেকে বীর বিক্রমকে ভুলানো চেষ্টা করেছিলো।কিন্তু নরেন্দ্র মোদী তা দেন নি। ত্রিপুরার মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য সহ জনজাতিদের সন্মান করেছেন মোদী। বীর বিক্রমের নামে করেছেন আগরতলা বিমান বন্দরের নাম।


রাজ্যের জাতি – জনজাতিদের প্রসঙ্গ টেনে অমিত শাহ বলেন, ” লাল ভাইয়েরা এই দুই সমপ্রদায়ের লোকজনকে ভুল বুঝিয়ে সংঘর্ষ বাঁধিয়েছিলো।কিন্তু মোদী সরকার সেই পথে হাঁটে নি। বিকাশের মধ্য দিয়ে জাতি – জনজাতি উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে মিলনের বন্ধন তৈরি করেছে। উভয় সম্প্রদায়ের লোকজন মিলেই করবে ত্রিপুরার উন্নয়ন। অন্যথায় ত্রিপুরার উন্নয়ন সম্ভব না।


সাম্প্রতিক কালে ভারত সরকার, ত্রিপুরা সরকার ও তিপ্রামথার মধ্যে হওয়া ত্রিপাক্ষিক চুক্তি প্রসঙ্গে বলেন, এটা একটা ঐতিহাসিক চুক্তি। এই চুক্তি অনুযায়ী, উভয় সম্প্রদায়ের লাভ হবে। কাউর কোন ক্ষতি হবে না। অনেক ভেবে চিন্তে এই চুক্তি করা হয়েছে। অমিত শাহের কথায়, গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলে উন্নয়নের স্বার্থে মোদি সরকার মোট দশটি চুক্তি করেছে। তার মধ্যে ত্রিপুরার চুক্তিও একটি। অমিত শাহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের জঙ্গিপনার তথ্য তুলে বলেন, মোদি সরকারের জামানায় এই অঞ্চলের দশ হাজার যুবককে হাতিয়ার থেকে অব্যাহতি দিয়ে মূল স্রোতে আনা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই শান্তি ফিরে এসেছে গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলে।


দেশের মানচিত্রে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে বারবার উঠে এসেছে ত্রিপুরার নাম। গোটা দেশে অনুপ্রবেশ একটা সমস্যা। অমিত শাহের অভিযোগ, কংগ্রেস – সিপিএমের জামানায় এদেশে অনুপ্রবেশ ঘটেছিলো নিয়ম করেই। এখন মোদী সরকার অনুপ্রবেশের সমস্যা চিরতরে মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই ১০০শতাংশ কাজ শেষ হয়ে যাবে। আটকে যাবে অনুপ্রবেশকারীরও। তারা আর এপারে প্রবেশ করতে পারবে না।


কেন্দ্রের মোদী সরকার দেশের জনজাতিদের উন্নয়নের জন্য কি কি কাজ করেছে? তার খতিয়ান তুলে ধরেন।সাধারণ ঘর থেকে জনজাতি মহিলা দ্রুপদী মূর্মুরকে রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসানোর দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত উন্নয়নের ছোঁয়া যে ত্রিপুরায় লেগেছে, তাও পরিসংখ্যান দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন অমিত শাহ। তিনি প্রশংসা করেছেন তিপ্রামথার ফাউন্ডার প্রদ্যুৎ কিশোরের। প্রদ্যুৎ -কে “রাজা ও তার দিদি কৃতিকে”মহারানী” বলে সম্বোধন করেছেন।
       
                     

Exit mobile version