
ডেস্ক রিপোর্টার, ১সেপ্টেম্বর।।
১৯৯৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ধনপুর থেকে টানা জয়ী হয়েছেন মানিক সরকার। এই কেন্দ্র থেকে ধারাবাহিক ভাবে জয়ী হয়েই তিনি কুড়ি বছর ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে। কিন্তু তারপরও ধনপুর অকাল ভোটে মানিক সরকার নিষ্প্রভ। কোথায়ও যেন তার একটা অনীহা কাজ করছে। দলীয় প্রার্থী কৌশিক চন্দের প্রচারে তাকে দেখা যাচ্ছে না। দলের অন্যান্য নেতারা প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচার করলেও মানিক সরকারকে খুঁজে পাওয়া কষ্টকর।

রাজনীতিকরা বলছেন, মেলারমাঠের সংসারেও আগুণ জ্বলছে। এই আগুন বেরিয়ে আসছে ঘষে ঘষে। তাই আগুনের উত্তাপ লাগছে না দলের সমস্ত স্তরের কর্মীদের গায়ে। তবে লাল বাড়ির সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তারা ভালো করেই অনুধাবন করতে পারছেন। ২৩- র নির্বাচন থেকেই জিতেন্দ্র চৌধুরীর সঙ্গে মানিক সরকারের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে শুরু করেছে।

বলতে গেলে সিপিআইএমের প্রয়াত প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাসের মৃত্যুর পর থেকেই জিতেন্দ্র চৌধুরীর সঙ্গে মানিক সরকারের দ্বৈরথ শুরু হয়ে যায় লাল বাড়ির অন্দরে।কারণ মানিক সরকার চেয়েছিলেন, প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে’কে রাজ্য সম্পাদক করতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু তাতে বাধ সাধেন জিতেন্দ্র, পবিত্ররা। স্বাভাবিক ভাবেই মানিক সরকারকে পিছু হটতে হয়। এরপর থেকেই মানিক সরকার ধীরে ধীরে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন।

২৩- র বিধানসভা নির্বাচনে মানিক নিজেকে সরিয়ে নেন সংসদীয় রাজনীতি থেকে।নির্বাচনের পর তিপ্রামথা ইস্যুতে নাম না করে বেশ কয়েকবার সমালোচনা করেছেন জিতেন্দ্র চৌধুরীর। জিতেন্দ্রর বিপরীত স্রোতে গিয়ে মানিক আক্রমণ করেছেন প্রদ্যুৎ কিশোরকে। তা থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় মানিক – জিতেন্দ্রর সম্পরকের অবনতির বিষয়টি। এই মুহূর্তে রাজ্যে। উপ ভোটের আবহ।

আগামী ৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে বামেদের ভিয়েতনাম ধনপুরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মানিক সরকারকে। কমিউনিস্ট নেতা মানিক সরকারের এই নিস্তব্ধতা নিঃসন্দেহে দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সন্দেহের দানা বাঁধতে শুরু করেছে।তাহলে মানিক কি চান না পুনরায় দল ফিরে আসুক ক্ষমতায়। যদি তিনি চাইতেন তাহলে ভোটের মুখে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারতেন না। এমনটাই মনে করছেন বাম কর্মী সমর্থকরা।