ডেস্ক রিপোর্টার,১৬ অক্টোবর।।
গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড ইস্যুতে ফের এক মঞ্চে রাজ্যের সমস্ত উপজাতি রাজনৈতিক দল।আগরতলা সরকারি অতিথিশালায় চলছে বৈঠক। এই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মন।দলের সভাপতি বিজয় রাংখল।আইপিএফটি’র সাধারণ সম্পাদক মেবার কুমার জমাতিয়া সহ অন্যান্য উপজাতি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব।শনিবারের এই ম্যারাথন বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
রাজনীতিকরা বলছেন, এদিনের বৈঠকের মূলত স্ক্রিপ্ট লিখেছেন তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুত কিশোর। প্রদ্যুতের নেতৃত্বেই চলছে বৈঠক। প্রদ্যুত কিশোর বারবার চাইছেন সমস্ত উপজাতি রাজনৈতিক দলগুলোকে এক মঞ্চে নিয়ে আসতে।তিনি প্রকাশ্যে এই ঘোষণা দিয়েছিলেন।সদ্য সমাপ্ত এডিসি নির্বাচনের আগে তিনি আইএনপিটি,এনসিটি সহ আরো কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে তিপ্রাতে “মার্জার” করতে সক্ষম হয়েছেন। বৈঠক শুরুর আগে আইপিএফটি’র সাধারণ সম্পাদক মেবার কুমার জমাতিয়া বলেছেন, “মূলত রাজ্যের জনজাতিদের উন্নয়নের স্বার্থে এই বৈঠক। এই কারণেই সবগুলি উপজাতি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব একসঙ্গে এসে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন।”
পাহাড়ে এই মুহূর্তে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে এক সময়ের দানবীয় সংগঠন আইপিএফটি।দলের অধিকাংশ নেতা-কর্মী-সমর্থকরা চলে গিয়েছে তিপ্রামথাতে। বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা ইতিমধ্যে তিপ্রামথাতে যোগ দিয়েছেন। পদত্যাগ করেছেন আইপিএফটি থেকে।একই অবস্থা দলের আরো চার বিধায়কের। তারা যেকোনো সময় যোগ দিতে পারেন তিপ্রামথাতে।এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রাজ্যের মন্ত্রিসভার দুই সদস্য এন সি দেববর্মা ও মেবার কুমার জমাতিয়া। সঙ্গে মান্দাইয়ের বিধায়ক ধীরেন্দ্র দেববর্মা। তবে এদিনের বৈঠকে আইপিএফটি সাধারণ সম্পাদক মেবার কুমার জমাতিয়া ও দলের প্রবক্তা মঙ্গল দেববর্মার উপস্থিতি নতুন ভাবে জল্পনা উস্কে দিয়েছে।
রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, তাহলে কি আগামী দিনে আইপিএফটিও মিশে যাবে তিপ্রামথার সঙ্গে? যদি তাই হয়,তাহলে ২৩-র বিধানসভা নির্বাচনে সৃষ্টি হবে আরও এক নতুন সমীকরণ।শাসক দল বিজেপির পক্ষে লড়াই আরও কঠিন হয়ে যাবে।তবে ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে তিপ্রামথা যে রাজনৈতিক দলের পাশে থাকবে পাল্লা ভারী হবে তাদেরই।যদিও ভোট এখন অনেক দেরি।তাই রাজনীতির সমীকরণ যে কোনো সময় লিটমাসের মতো লাল-নীল হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনীতিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *