ডেস্ক রিপোর্টার, ২০অক্টোবর।।
     বই অতীত থেকে ভবিষ্যৎ , নিকট থেকে দূরে , প্রান্ত থেকে অন্তে, এমনকি যুগ থেকে যুগান্তরে জ্ঞানের আলোকে পৌঁছে দিতে পারে । তাই দেশ- কালের সীমানা অতিক্রম করে জ্ঞানের আলোকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারে একমাত্র বই । শ্রেষ্ঠ শিক্ষা হল আত্মশিখন । আর বই সেই আত্মশিখনের শ্রেষ্ঠ সহায়ক।
       বই সম্পর্কে মার্ক টোয়েন বলেছিলেন,.”ভাল বন্ধু, ভাল বই এবং একটি শান্ত বিবেক: এটি আদর্শ জীবন।“— এক সময়ে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় নানান সামাজিক অনুষ্ঠানেও বই “উপহার” দেওয়ার প্রচলন ছিলো। এটা একটা সংস্কৃতির রূপ নিয়েছিল। কিন্তু এখন সেই সংস্কৃতি প্রায় বিলুপ্তির পথে। আধুনিকতার জৌলুসে তুলনামূলক ভাবে হারিয়ে যাচ্ছে বই পড়ার প্রবণতাও। উপহার (বই) তো অনেক দূরের কথা।


তবে এখন সমাজে এমন মানুষ আছেন, যারা হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও মার্কাস টুলিয়াস সিসারোর মতো যেন বলতে পারেন,”বই ছাড়া একটি কক্ষ, আত্মা ছাড়া দেহের মতো।” এবং তিনিই বই উপহারের সংস্কৃতিকে সরাসরি নিয়ে আসতে পারেন রাজনীতির রঙ্গ মঞ্চেও।
       রাজ্য রাজনীতির তরুণ নেতা অমিত রক্ষিত। রাজ্য বিজেপির সহ – সভাপতি। এবং খোয়াই জেলার বিজেপির প্রভারী। অমিত রক্ষিতের হাত ধরেই বই উপহারের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি এখন প্রকট হচ্ছে বিজেপির অন্দর মহলে।
            সম্প্রতি বিজেপির সর্ব ভারতীয় প্রবক্তা সম্বিত পাত্রা রাজ্যের এসেছেন। তাকে বিমান বন্দরে প্রদেশ কমিটির পক্ষ থেকে সাদরে গ্রহণ করেন অমিত রক্ষিত। একই ভাবে প্রদেশ বিজেপির নির্বাচনী ইনচার্জ  মহেন্দ্র সিংকে গ্রহণ করেন অমিত রক্ষিত। উভয়কে বিমান বন্দরে উত্তরীয় পরিয়ে, বই দিয়ে অভ্যর্থনা জানান অমিত। বই দিয়ে অভ্যর্থনা জানানোর সংস্কৃতি অনেক পুরনো। কিন্তু বর্তমানের সেই সংস্কৃতি লুপ্ত প্রায়। তবে প্রদেশ বিজেপির উচ্চ শিক্ষিত বই পাগল সহ-সভাপতি অমিত রক্ষিত উপহার স্বরূপ বই দেওয়ার সংস্কৃতিকে ভুলে যান নি।কারণ তাঁর মজ্জাতেই  বই। এই কারণেই অমিত পুরানো সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে এনে বুঝিয়ে দিয়েছেন নিজের সংস্কৃতির ভাবনার গভীরতা। তাও আবার ভর রাজনীতির মঞ্চে।


এখন পর্যন্ত দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে  প্রধানমন্ত্রী সহ ডজন খানেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব এসেছেন রাজ্যে। কিন্তু স্থানীয় নেতাদের  (যারা বিমান বন্দরে শোভা বর্ধন করেন) কখনো দেখা যায়নি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বই দিয়ে অভ্যর্থনা জানাতে। শুধু শাসক দল বিজেপি কেন?একই অবস্থা কংগ্রেস ও সিপিআইএম নেতৃত্বকেও। কিন্তু তাদের মধ্যে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম  রাজ্য বিজেপির নতুন নেতা অমিত রক্ষিত।
          প্রদেশ  বিজেপি সূত্রের খবর, ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বিমান বন্দরে গিয়ে “রিসিভ” করার জন্য দায়িত্ব বর্তেছে দলের সহ- সভাপতি অমিত রক্ষিতের উপর। এই কারণেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সাদরে গ্রহন করার জন্য বিমান বন্দরে ছুটে যান অমিত রক্ষিত। এবং লুপ্ত প্রায় সংস্কৃতিকে ফের ফিরিয়ে নিয়ে আসেন তিনি। দেখা যায়,বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রবক্তা সম্বিত পাত্রা ও নির্বাচনী ইনচার্জ মহেন্দ্র সিংকে আত্মশিখনের শ্রেষ্ঠ সহায়ক “বই” তুলে দিয়েছেন।


রাজনীতিকদের কথায়, বিজেপি নেতা অমিত রক্ষিতের এই চিন্তা ভাবনা প্রসার ঘটতে পারে দলের সাধারণ নেতা কর্মী সমর্থকদের মধ্যেও। তারাও ঋদ্ধ হতে পারবেন বই পড়ে। এবং গড়ে তুলতে পারবেন শান্ত বিবেক ও আদর্শ জীবন। তখন তার ফলও হাতে নাতে পেয়ে যাবে ভারতীয় জনতা পার্টি।
            এদিকে বৃহস্পতিবার উদয়পুর ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে যান রাজ্য বিজেপির নির্বাচনী প্রভারী মহেন্দ্র সিং। তার সঙ্গে ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সহ – সভাপতি অমিত রক্ষিত। এদিন মহেন্দ্র সিং মায়ের মন্দিরে পূজো দিয়ে ২৩-শে দলের প্রত্যাবর্তনের লড়াইয়ের প্রস্তুতির জন্য মনস্থির করলেন। এবং সরোবর নগরী থেকে এসেই শুরু করে দেবেন নিজের রাজনৈতিক কার্যকলাপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *