ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
                 রাজ্যের এডিসি অঞ্চল গুলিতে আতঙ্কের প্রহর গুনছে সাধারণ মানুষ।বিশেষ করে বাঙালি সম্প্রদায়ের লোকজন। তিপ্রামথার উগ্র সমর্থকরা বিজেপির কর্মী সমর্থকদের  আক্রমণের নামে বকলমে বাঙালিদের অত্যাচার শুরু করেছে। রাতের আঁধারে বাড়িঘরে প্রবেশ করে মারধর। মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায়, মানুষের গৃহপালিত পশু ছিনতাই,আবার অবোল প্রাণীকে হত্যার ঘটনাও সংঘটিত করছে মথার কর্মীরা।তাদের বক্তব্য, বিজেপির লোকজনকে মারধর করছে।আক্ষরিক অর্থেই বাঙালির উপর চালু করেছে স্টিম রুল।কিন্তু কেউ বলার নেই। পুলিশ প্রশাসন অসহায়।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা মানিক সাহা বিভিন্ন জেলায় ঘুরছেন।কথা বলছেন পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে।কিন্তু কোথায়ও পরিস্থিতি অনুকূলে নেই। আর সমতলে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা মারধর করছে কংগ্রেস সিপিআইএম সমর্থিত বাঙালি সম্প্রদায়ের লোকজনকেই। সব মিলিয়ে  ২৩- র ভোট যুদ্ধের পর পাহাড় সমতল উভয় অংশেই আক্রান্ত হচ্ছে বাঙালি।অথচ এই রাজ্যে বাঙালিরাই সংখ্যা গরিষ্ঠ।
                 রাজ্যের পূর্বতন শাসক দল সিপিআইএম বরাবর জনজাতি তোষণ করতো।তারা নির্বাচনে আসন গুনা শুরু করতো ২১থেকে।বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষকে চোখেই লাগতো না।কিন্তু অধিকাংশ নেতৃত্ব ছিলো বাঙালি। ২০১৮ ও ২০২৩ র বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা পেয়েছে জনজাতি তোষণের রেজাল্ট। ১৮- র ভোটে পাহাড় থেকে দুইটি আসন পেয়েছিল।আর ২৩- র নির্বাচনে পাহাড় বামেদের খালি হাতে বিদায় করে দিয়েছে। একমাত্র বাঙালি প্রভাবিত অঞ্চল থেকে ১২টি আসন পেয়েছে কমিউনিস্টরা।
                 তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর সরাসরি ফেসবুক লাইভে হুমকি দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল বিজেপিকে।প্রদ্যুৎ স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তিপ্রাসা ব্যতীত বিজেপি রাজ্য চালাতে পারবে না। প্রদ্যুৎ কৌশল করে বাঙালিদের মধ্যেও বিভেদের বীজ বপন করে দেন।তিনি সংখ্যালঘুদের বাঁচানোর জন্য মথার কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন।স্বাভাবিক কারণেই প্রদ্যুৎ কিশোরের এই ধরনের বক্তব্যের পর পাহাড়ের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে উঠেছে। মথার কর্মীরা তেল খাওয়া মেশিনের মতো দৌড়াচ্ছে।তারা চোখে দেখছে  সরিশা ফুল।এডিসি অঞ্চলের বিভিন্ন বাঙালি বাড়িতে প্রবেশ করে নির্বিচারে শুরু করেছে আস্ফালন। মথার কর্মীদের এই কাণ্ড কারখানার পর বিজেপি নেতৃত্ব মুখ খুলছে না।  এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে প্রদ্যুৎ বিজেপিকে সরাসরি হুমকি দিয়ে দেয়।এবং বিজেপি নামধারী বাঙালিদের নির্যাতনের দিশাও দেখিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *