ডেস্ক রিপোর্টার,২৯জানুয়ারি।।
ঘুমন্ত অবস্থা থেকে ফের জেগে ওঠার প্রয়াস শুরু করেছে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস। সদ্য সমাপ্ত পুর ও নগর ভোটে ২৩শতাংশ ভোট পাওয়ার পর এবার পাহাড় রাজনীতিতে মনোনিবেশ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী মাসে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রদেশ কমিটি দেওয়ার কথা।তার আগেই স্থানীয় নেতৃত্ব পাহাড়ে ডাল-পালা মেলার চেষ্টা শুরু করেছে।খবর তৃণমূল সূত্রের।
রাজ্যের পাহাড় রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো শক্তি নেই। তবে এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের শাসক জোট আইপিএফটি’র কিছু বিক্ষুব্ধ নেতাদের হাতিয়ার করে পাহাড়ে শক্তি সঞ্চয়ের চেষ্টা করছে। ঘাসফুলের এই প্রয়াস কতটা সফল হবে তা বলবে সময়ই।
এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের বঙ্গ নেতৃত্ব ব্যস্ত গোয়া নিয়ে।তবে দলের কোর কমিটির নির্দেশে সুবল ভৌমিক সহ আরো কয়েকজন আইপিএফটি’র কিছু বিক্ষুব্ধ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। সম্প্রতি আইপিএফটি’র বেশ কয়েকজন নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানও করেছেন।তবে এখন পর্যন্ত হেভিওয়েট কাউকে দলে নিতে পারেনি তৃণমূল।রাজনৈতিক ভাবে “ভারী” আইপিএফটি’র নেতাদের দলে টানতেই সুবল ভৌমিক কাজ শুরু করেছেন। এবং বাংলার দুই নেতাও যোগাযোগ শুরু করেছেন আইপিএফটি’র বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে।
পাহাড়ের খবর মোতাবেক, বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের জামানায় আইপিএফটি’র কিছু নেতা কোনো কিছুই করতে পারেন না।মাঝখানে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তিপ্রামথা।কিন্তু তারা তিপ্রামথার দিকেও ঝুঁকতে নারাজ।সংশ্লিষ্ট নেতারা এখনো ধরে আছেন এনসি’র দলের ঝান্ডা।কিন্তু তারা কোনো আধিপত্য বিস্তার করতে পারছে না।আইপিএফটি’র কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বও সংশ্লিষ্ট বিক্ষুব্ধ নেতাদের বাগে আনতে পারেন নি। আইপিএফটি’র এই সমস্ত নেতারা আবার প্রচন্ড বাম বিরোধী।এক সময় তারা জড়িত ছিলেন কংগ্রেসের দিকে।পরবর্তীতে তারা গা ভাসিয়ে ছিলেন এন সি’র দলে। পাহাড়ে মথার উত্থানের পরও প্রদ্যুত কিশোরের উপর আস্থা রাখতে পারেন নি আইপিএফটি’র একাংশ নেতা।তাই তারা মথার প্রতিও ছিলো বিমুখ।এই মুহূর্তে আইপিএফটি’র এই বিক্ষুব্ধ অংশের নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে।এবং পাহাড়ে তৃণমূলের বাড়ানোর জন্য বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে আগাম বোঝাপড়া করেই আইপিএফটি’র বিক্ষুব্ধ নেতারা ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়ার জন্য ব্রতী হয়েছেন। আইপিএফটি’র কিছু কিছু বিক্ষুব্ধ নেতা তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ শুরু করেছেন ইতিমধ্যে।
রাজনীতিকদের প্রশ্ন পাহাড়ে তিপ্রামথা, জিএমপি এবং আইপিএফটিকে রেখে এনসি’র বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠি তৃণমূলকে পাহাড়ে কতটা সফলতা এনে দিতে পারবে? পাহাড়ে তৃণমূল শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে এই কারণেই সন্দিহান রাজনৈতিক মহল।যদিও তৃণমূল দাবি করছে, ফেব্রুয়ারি’র মাঝামাঝি সময় থেকেই পাহাড় রাজনীতিতে ঝাঁপিয়ে পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *