ডেস্ক রিপোর্টার,২৫ নভেম্বর।।
প্রত্যাশিত ভাবেই সাঙ্গ হলো পুর ও নগর ভোট। প্রশাসনের দাবি ভোট হয়েছে নির্বিঘ্নে।একই দাবি শাসক দল বিজেপি’র।কিন্তু সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে সব কয়টি বিরোধী দল। শহরের দুই থানায় ধর্ণা দিয়েছে সিপিআইএম ও তৃণমূল কংগ্রেস।
ভোট সাঙ্গ হওয়ার পর জনমনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কি হবে রেজাল্ট।কয়টি আসন পাবে শাসক দল বিজেপি।বামেদের ভাগ্যে জুটবে কয়টি?এবং সদ্য মাথা গজিয়ে উঠা তৃণমূল কংগ্রেস কি খুলতে পারবে খাতা?নানাহ প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে। এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২৮নভেম্বর পর্যন্ত।
নির্বাচন শেষ হতেই ভোট সংক্রান্ত ইস্যুতে রিপোর্ট জমা করে গোয়েন্দা।গোয়েন্দার তথ্য অনুযায়ী, আগরতলা নিগম ভোটে প্রত্যাশিত রেজাল্ট করবে শাসক দল বিজেপি।আগরতলা পুর নিগম ভোট নিয়েই মূলত বুথ ফেরত সমীক্ষা করেছে। কারণ এবার সব কয়টি রাজনৈতিক দলের পাখির চোখ আগরতলা পুর নিগম ভোটে।কেননা নিগম ভোটের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে ২৩-র মহারণের গ্রাফ।তাই নিগম ভোটকেই অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো।
গোয়েন্দার বুথ ফেরত সমীক্ষায় বলছে, আগরতলা পুর নিগম দখল করবে বিজেপি।শুধু তাই নয়,গড়বে রেকর্ডও।রীতিমত নিগম হবে প্রায় বিরোধী শূন্য। গোয়েন্দার দাবি, আগরতলা পুর নিগম ভোটে শাসক দল বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে সর্বোচ্চ ৪৯টি আসন পাবে।আর বরাত জোরে একটি আসন যেতে পারে বামেদের ঝুলিতে।এবং একটি আসন পেয়ে খাতা খুলতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস।তবে এটা সন্দেহের মধ্যে রাখছে গোয়েন্দা। গোয়েন্দার আশঙ্কা এমনও হতে পারে আগরতলা পুর নিগম হতে পারে বিরোধী শূন্য।ঝুলি শূন্য থাকতে পারে সিপিআইএম ও তৃণমূল কংগ্রেসের।
গোয়েন্দার রিপোর্টে বলা হয়েছে,মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে উন্নয়নের স্বার্থে।রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের পর নানান ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে।দীর্ঘ দিন নিগম ছিল প্রশাসকের হতে।তাতে নানান সমস্যা পোহাতে হয়েছিলো সাধারণ মানুষের।এই মুহূর্তে রাজ্যের ক্ষমতায় বিজেপি সরকার।কিন্তু নিগমে অন্য দলের দখলে গেলে অঘোষিত ভাবে থমকে যাবে নিগমের উন্নয়ন।তাই ভোটাররা কোনো ঝুঁকি নিতে চান নি।
গোয়েন্দার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে,এখন পর্যন্ত ২০২৩-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি’র পাল্লা ভারী।কেননা প্রধান বিরোধী দল অনেকটা নিষ্প্রভ।তাছাড়া এখনো বামেদের মানুষ বিশ্বাস করতে পারছেনা।তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন অনেক দুর্বল।তাদের বুথ স্তরে নেই কোনো লোকবল।ভোটে জিততে হলে আগে বুথ দখল করতে হবে।তবেই বিজেপি’র মত শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা যাবে।কিন্তু এখন পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের তেমন কোনো শক্তি দেখ যায় নি। তারা ধারাবাহিক আন্দোলন করলেও সবটাই ভাসা-ভাসা।স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিও মানুষ পূর্ণাঙ্গ আস্থা প্রদর্শন করতে পারছে না।তাই ২৩-এ বিজেপি’কে পছন্দ করছে ভোটাররা।এই কারণেই নিগম ভোটে কোনো কিছু না ভেবে মানুষ আস্থা রেখেছে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের উপর।এবং ভোট দিয়েছে বিজেপিকে।
