ডেস্ক রিপোর্টার,৭মার্চ।।
আগামী ৩১মার্চ অনুষ্ঠিত হবে রাজ্যের রাজ্যসভার একটি আসনের নির্বাচন।সোমবার এই ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।এদিন একই সঙ্গে দেশের মোট আরো পাঁচটি রাজ্যের রাজ্যসভার ভোট অনুষ্ঠিত হবে।মোট আসন সংখ্যা ১৩টি।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ত্রিপুরার একটি আসন ছাড়াও আসামের ২টি, হিমাচল প্রদেশের ১টি, কেরলের ৩টি, নাগাল্যান্ডের ১টি এবং পাঞ্জাবের ২টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
রাজ্য সভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে আগামী ১৪মার্চ।মনোনয়ন জমা করার দিন আগামী ২১মার্চ, মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন আগামী ২৪মার্চ। ভোট হবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এদিন বিকাল ৫টায় গণনা।
আগামী বছর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন।তার আগে রাজ্যসভার একটি আসনের নির্বাচন রাজ্য রাজনীতির জন্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। বর্তমানে ত্রিপুরার রাজ্য সভার সাংসদ সিপিআইএম নেত্রী ঝর্ণা দাস বৈদ্য। এবার বামেদের আগের প্রভাব প্রতিপত্তি নেই। তবে নির্বাচনে এবার বামেরা প্রার্থী দেবে কিনা তা এখনো জানা যায়নি।কিন্তু বামেরা প্রার্থী দিলেও কোনো লাভ হবে না।কেননা রাজ্য বিধানসভার সংখ্যা গরিষ্ঠ দল বিজেপি।সঙ্গে আছে তাদের শরিক দল আইপিএফটি।এই মুহূর্তে রাজ্য বিধানসভায় বিজেপি’র বিধায়ক রয়েছেন ৩৩জন।সঙ্গে আইপিএফটি’র ৭জন বিধায়ক। আইপিএফটি’র অপর বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা দল ও বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করলেও তাঁর ইস্তফা পত্র এখনো গৃহীত হয়নি।বা তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হয়নি।সেই অর্থে আইপিএফটি’র বিধায়ক সংখ্যা ৮জন। তাহলে বিজেপি-আইপিএফটি শাসক জোটের মোট ভোট সংখ্যা (৩৩+৮) ৪১টি। অন্যদিকে বিরোধী দল বামেদের ভোট সংখ্যা ১৫।বামেদের একজন বিধায়ক প্রয়াত হয়েছেন।
সংখ্যা তত্ত্বের নিরিখে রাজ্য বিধানসভায় বিজেপি-আইপিএফটি শাসক জোটের ভোট ৪১টি। এবং বামেদের ভোট ১৫টি।স্বাভাবিক ভাবেই শাসক জোটের মনোনীত প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। এই অবস্থায় নিশ্চিত পরাজয় জেনে বামেরা প্রার্থী দেবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
কে হবেন শাসক জোটের রাজ্য সভার প্রার্থী? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিজেপি’র অন্দর মহলের প্রাথমিক খবর ছিলো, বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি ডা:মানিক সাহাকে রাজ্য সভার প্রার্থী করা হবে।কিন্তু পরবর্তীতে তা ভেস্তে যায়।ডা:মানিক সাহাকে বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচনে প্রার্থী করবে বিজেপি।এটাই এখন পর্যন্ত নাকি বিজেপি’র চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। রাজ্য সভার প্রার্থীর দৌঁড়ে ছিলেন রাজ্য বিজেপি’র সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মন।কিন্তু এখন তিনি নেই এই দৌঁড়ে।কিশোরকে আগামী বিধানসভার নির্বাচনের জন্য দল প্রস্তুত করছে।হয় তো বা নির্বাচনের প্রাক লগ্নে দলের আরো বড় দায়িত্বে আসতে পারেন কিশোর বর্মন। গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, বিজেপি’র রাজ্য সভার পছন্দের প্রার্থী হতে পারেন ডা:অশোক সাহা।তিনি এখন দলের সহ-সভাপতি। ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ অরুণ উদয় সাহার নামও উঠে আসছে বিজেপি’র একটা মহল থেকে।তবে শাসক দল বিজেপি এখন পর্যন্ত কাউকে চূড়ান্ত করে নি।আশা করা যাচ্ছে আগামী ৮মার্চ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য সফরের পর রাজ্য সভার প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে বসবে প্রদেশ বিজেপি’র থিঙ্ক-ট্যাঙ্করা। এমন খবর প্রদেশ বিজেপি’র রান্না ঘরের।
