আগরতলা, ৩০ জানুয়ারি।।
     গত ২৬শে জানুয়ারী  শুক্রবার প্রজাতন্ত্র দিবসের রাতে তেলিয়ামুড়া শহরের উপকন্ঠে কলই পাড়ার পার্শ্ববর্তী উত্তর ব্রম্মছড়া গ্রামে উগ্রবাদীরা বাঙালীদের ১৪ টি বাড়ীঘর ভেঙে গুড়িয়ে দেয়।আক্রমণকারীরা যে তীব্র বাঙালী বিদ্বেষী ও এলাকাতে বাঙালীদের থাকতে দেবে না তার প্রমাণ হল গ্রামের উপর দিয়ে যাওয়ার রাস্তার উপর তাদেরই লেখা “গো ব্যাক ওয়াংনসা ও রেড জোন” শ্লোগানটি।
    


প্রসঙ্গত সেদিন যে সকল বাঙালীদের বাড়ীঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে,  ২০০০ সালেও উগ্রবাদীরা বাঙালীদের ধনমান, জীবন,সম্পত্তির উপর নৃশংস আক্রমণ সংঘটিত করেছিল । পরিণামে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাঙালীরা নিরাপত্তার অভাবে বাচাঁর আশায় তেলিয়ামুড়া শহরের আশেপাশে গাছতলায় কুড়ে ঘর বানিয়ে মোটে মজুরি করে কোনভাবে জীবনযাপন করে চলেছে।কারণ অতীতে সেখানে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প থাকলেও অনেক দিন হল তা তুলে দেওয়া হয়েছে । জমিতে ফসল করলে রাতের আধার তো বটেই দিনের বেলাতেই সংশ্লিষ্ট বাঙালী বিদ্বষীরা তা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে বাম আমলে যেমন বাঙালী বিদ্বেষী উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে বোটের (ভোটের)  স্বার্থে তোষণ নীতি চালানো হয়েছিল। ত্রিপুরা রাজ্যের বর্তমান ক্ষমতাশীন দল বিজেপি সরকারও ক্ষমতার লক্ষ্যে একই  নীতি চালিয়ে যাচ্ছে ।উল্লেখিত পরিস্থিতিতে “আমরা বাঙালী” ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি মনে করে গত ২৬ শে জানুয়ারী  তেলিয়ামুড়ার উত্তর ব্রম্মছড়ার ঘটনা কিছু দিন আগে উগ্রবাদীদের দ্বারা সংঘটিত উদয়পুরের অদূরবর্তী রাইয়াবাড়ীর ঘটনা একই সূত্রে গাথা এবং সেইটি হল প্রথম পর্যায়ে এডিসি এলাকা থেকে বাঙালী বিতাড়ণ ও শেষে গোটা ত্রিপুরা রাজ্যকে বাঙালী শূণ্য করা । এপ্রসঙ্গে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড ও গো ব্যাক বাংলাদেশী শ্লোগানের উদ্গাতা তথা তিপ্রা মথা দলের স্রষ্টা  প্রদ্যোৎ কিশোর দেব্বর্মণ । তার মতো বাঙালী বিদ্বেষী নেতাদের উস্কানী যে উল্লেখিত ঘটনা গুলোর পেছনে মদত জুগিয়ে চলেছে  তা দিবালোকের মত পরিস্কার ।


এই অবস্থার প্রেক্ষিতে রাজ্য প্রশাসন তথা ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের কাছে আমরা বাঙালীর দাবী—

#.তেলিয়ামুড়া উত্তর ব্রম্মছড়া এলাকায় স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বসাতে হবে ও প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসরত বাঙালীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
# .অবিলম্বে উত্তর ব্রম্মছড়ায় বাঙালীদের বাড়ীঘর যারা ভাঙছুড় করেছে তাদের তদন্তক্রমে চিহ্নিত করে কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে ও ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ।


#. এডিসি এলাকায়ও ব্যবসা বানিজ্যরত বাঙালী ব্যবসায়ীদের উপর আইন বহির্ভূত কর চাপানো বন্ধ করতে হবে ।
#. ত্রিপুরা তথা ভারতের বুকে বাঙালীদের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
     এক প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে  আমরা বাঙালী
  ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির পক্ষে সচিব গৌরাঙ্গ রুদ্রপাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
           

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *