ডেস্ক রিপোর্টার, ১৯অক্টোবর।।
২৩- র মহাসংগ্রামকে সামনে রেখে প্রতিদিন পারদ চড়ছে রাজ্য রাজনীতির। প্রতিটি রাজনৈতিক দল নিজেদের মত করে গুছিয়ে নিচ্ছে।ইতিমধ্যে রাজ্যে এসেছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ইভিএম। শাসক দল বিজেপি ত্রিপুরার নির্বাচনী প্রভারী ও সহ- প্রভারী নিয়োগ করেছে।স্বাভাবিক ভাবেই বিধানসভা ভোটের উত্তেজনা কোনো পর্যায়ে পৌঁছেছে তা সহজেই অনুমেয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, ২৩- র বিধানসভা নির্বাচন হবে তিন দফায়। এর আগে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছিলো একদিনেই।এবারই ব্যতিক্রম হতে চলছে। রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কারণ এবারের বিধানসভা নির্বাচন আগের সব কয়টি নির্বাচনের রেকিংকে ছড়িয়ে যাবে।নির্বাচনে ঘটতে পারে প্রচুর রক্তক্ষয়ী ঘটনা। নির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করেন নির্বাচন কমিশন এধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনীতিকরা। প্রতি দফায় ভোট হবে কুড়িটি কেন্দ্রে।
উত্তর – পূর্বাঞ্চলের মনিপুরে বিধানসভার আসন সংখ্যা ৬০টি। মনিপুরের শেষ বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল দুই দফায়। তবে ত্রিপুরায় দুই দফায় ভোট করাটাও ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে উঠবে বলেই মনে করেছে নির্বাচন কমিশন।এই কারণেই কমিশন ত্রিপুরায় তিন দফায় ভোট করাতে চাইছে। রাজনীতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, কমিশনের এই চিন্তা ভাবনা রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট তাৎপর্য পূর্ণ।
রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের কথায়, বিজেপিকে সুবিধা দিতেই কি নির্বাচন কমিশনের তিন দফায় ভোটের পরিকল্পনা? তবে এবারের নির্বাচনে মানুষ বিজেপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।তাই কয়েক দফায় ভোট হলেও কিছুই হবেনা। বরং তাতে লাভ হবে বিরোধীদের। প্রতিটি আসনে ভোট বাজারে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে বিরোধীরা।
