বক্সনগর ডেস্ক,৬নভেম্বর।।
নিখোঁজ হওয়ার ১৩দিন পর উদ্ধার বিশালগড়ের দুর্গানগরের যুবক নোটন দাসের পচাগলা মৃতদেহ। শনিবার সন্ধ্যায় কলমচৌড়ার
ডেলানিয়া এলাকায় মাটি খুঁড়ে পুলিশ নোটন দাসের লাশের হদিস পায়। নোটন খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে অভিজিৎ দাস(১৮) নামে এক যুবককে।তার বাড়ি কলমচৌড়া থানার বাগবের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।অনুসন্ধানকারী পুলিশ জানিয়েছে, খুন হওয়া নোটন দাসের স্ত্রীর সঙ্গে অভিজিৎ দাসের অবৈধ সম্পর্ক ছিলো। এই কারণেই অভিজিৎ দাস পূর্ব পরিকল্পনা করে নোটন দাসকে খুন করে প্রমান লোপাটের জন্য লাশ মাটি দিয়ে চেপে দেয়।মূলত অভিজিৎ দাসের মোবাইল ট্র্যাক করেই তদন্তের শিকড়ে পৌঁছায় পুলিশ। তদন্তকারী পুলিশ নোটনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠিয়ে দেয় হাসপাতাল মর্গে।
গত ২৫অক্টোবর নোটন দাস তার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিলো।এর পরদিন বক্সনগর বনদপ্তর সংলগ্ন এলাকার জঙ্গল থেকে নোটন দাসের রক্তামাখা মোটর বাইক উদ্ধার করে পুলিশ।কিন্তু নোটন দাসের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অনুসন্ধানকারী পুলিশ জানতে পারে কলমচৌড়ার বাগবের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার যুবক অভিজিৎ দাসের সঙ্গে নোটনের স্ত্রীর সম্পর্ক ছিলো। এই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ অভিজিৎ ও নিখোঁজ যুবক নোটনের স্ত্রীর উপর নজর রাখতে শুরু করে। পুলিশ ট্র্যাক করে তাদের মোবাইল। মোবাইল ট্র্যাক করে পুলিশ নিশ্চিত হয়ে যায় নোটন দাসকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। এবং এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিজিৎ দাস।
পুলিশ নিশ্চিত হওয়ার পর শনিবার সন্ধ্যায় বাগবেরস্থিত বাড়ি থেকে অভিজিৎ দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অনুসন্ধানকারী পুলিশের টানা জিজ্ঞাসাবাদে অভিজিৎ দাস ভেঙে পড়ে।এবং একসময় অভিজিৎ স্বীকার করে, নোটন দাসকে খুনের পর জঙ্গলে গর্ত করে মাটি চাপা দিয়ে রেখে দেয়। অভিজিৎ দাসের দেওয়া স্বীকারোক্তি মূলে পুলিশ কলমচৌড়ার
ডেলানিয়া এলাকা থেকে মাটি খুঁড়ে নোটন দাসের লাশ উদ্ধার করে।পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, নোটন খুনের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে। ধৃত অভিজিৎ দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাদবাকি খুনিদের নাম জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারী পুলিশ।
