
ডেস্ক রিপোর্টার, ৩সেপ্টেম্বর।।
রাজ্য রাজনীতির আকাশ বাতাসে এখন বাজছে উপ নির্বাচনের ক্যাসেট। আর ৪৮ ঘন্টা পরই ভোট দান প্রক্রিয়া। শাসক – বিরোধী সন্মুখ সমরে। মাটি কামড়ে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত উভয় শিবির। উপভোট নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব যখন ব্যস্ত, তখনই দলের সংগঠন নিয়ে বিদ্রুপ করলেন খোদ প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ দাস।বিজেপির সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি পোস্ট করেছেন।
প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ দাস তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন,”সংগঠন তখনই শক্তিশালী হবে, গ্রহন যোগ্য হবে যখন সমাজ তাকে বন্ধু হিসাবে দেখবে, সুখ-দু:ক্ষের সাথী ভাববে, তাদের বিভিন্ন সমস্যায় এগিয়ে যাবে। তার অন্ন,বস্ত্র বাসস্থান, শিক্ষা নিয়ে চিন্তা করবে। নিজেদের মধ্যে বিশ্বাস যোগ্যতা থাকতে হবে। মুখে দেবতূল্য কার্যকর্তা বললেই হবেনা, দেবতূল্য হয়ে উঠতে হবে। তবেই সবার আস্থা অর্জন করা সম্ভব।”

দিলীপ দাসের এই বক্তব্য প্রমাণ করে,
*বিজেপির সংগঠন এখনো
সমাজের বন্ধু হতে পারেনি।
*বিজেপির সংগঠন খুব নড়বড়ে।
* বিজেপির নেতারা মানুষের
সুখ দুঃখে পাশে থাকেন না ।
*নেতা ও কর্মীদের মধ্যে বইছে
ঘোর অবিশ্বাসের বাতাবরণ।
*বিজেপি নেতারা কার্যকর্তাদের
মুখে মুখে দেবতুল্য বলে আখ্যা দেন।

*কিন্তু বাস্তবের সঙ্গে
তার কোনো মিল নেই।
*আসলে নেতারা মুখে
ও কাজে এক নয় ।
*কর্মকর্তারা পাচ্ছেন
না দেবতুল্য সন্মান।
*সময় ফুরিয়ে গেলে কর্মকর্তাদের
ঢিল ছুড়ে ফেলে দেয় আস্ত কুড়ে ঘরে।
* অভিমানী কার্যকর্তারা
ধীরে ধীরে দিচ্ছে পিছু টান।

উপ-ভোটের প্রাক্তন লগ্নে বিধায়ক দিলীপ দাসের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম করা এই পোষ্ট রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তার কথার মাধ্যমে বিজেপির অন্দরের সাংগঠনিক ফোটোর কথা উঠে এসেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ দাসের সংগঠন সংক্রান্ত এই পোস্টকে সমর্থন করেছে অনেক কর্মী সমর্থকরা। তারা দিলীপ দাসের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন।

উপ নির্বাচনের প্রাকলগ্নে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ দাসের এই সমস্ত বক্তব্য নিঃসন্দেহে চাপ বাড়ছে শাসক দলের। তবে উপ ভোটে পাল্লা ভারি বিজেপির। আর দিলীপ দাস প্রমাণ করে দিলেন, এই মুহূর্তে দলের মধ্যে তার অবস্থান কোনো পর্যায়ে পৌঁছেছে?
