
ডেস্ক রিপোর্টার, ২৬জুলাই।।
এক ব্যক্তি,এক পদ। এই ফর্মুলাতে প্রদেশ বিজেপিতে চলছে পদত্যাগের হিড়িক। ইতিমধ্যে সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মন্ত্রী টিংকু রায় ও নলছড় কেন্দ্রের বিধায়ক কিশোর বর্মন। তারা দুই জনই ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। এক ব্যক্তি, এক পদ ফর্মুলাতে বিজেপির আরো কয়েকজন নেতা সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন বলে খবর।
প্রদেশ বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি নবাদল বণিক। একই সঙ্গে তিনি ত্রিপুরা শিল্প নিগমের চেয়ারম্যান। এই মুহূর্তে এক ব্যক্তি,এক পদ এই ফর্মুলাতে নবাদলকেও একটি পদ থেকে ইস্তফা দিতে হচ্ছে। কৃষ্ণনগর গেরুয়া বাড়ির অন্দর মহলের খবর, নবাদল বণিক টিআইডিসির চেয়ারম্যান পদ ছাড়বেন না। তিনি ছাড়বেন সাংগঠনিক পদ। অর্থাৎ প্রদেশ যুব মোর্চার সভাপতি পদ থেকে অতি সত্বর ইস্তফা দেবেন নবাদল বনিক। তাহলে কার হাতে উঠবে যুব মোর্চার ব্যাটন? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে গেরুয়া বাড়ির চৌহদ্দিতে।

নাম: জিতেন্দ্র দত্ত ওরফে রুপম।
পদ: বর্তমানে কোনো দায়িত্বে নেই।
পূর্বের পদ: প্রাক্তন সাংগঠনিক সম্পাদক, এবিভিপি,ত্রিপুরা প্রদেশ।
মূল বাড়ি: শিলচর, অসম।
বর্তমান ঠিকানা: আগরতলা।
এএমসি ওয়ার্ড নম্বর: ২৩।
বিধানসভা কেন্দ্র: ৯- বনমালীপুর,
নাম: প্রসেনজিৎ ঘোষ
পদ: সভাপতি, সদর জেলা (শহর),যুব মোর্চা।
মূল বাড়ি: আগরতলা।
এএমসি ওয়ার্ড নম্বর: ৩১।
বিধানসভা কেন্দ্র: ৯- বনমালী পুর।
নাম: মানিক দেবনাথ।
পদ: সভাপতি, খোয়াই জেলা, যুব মোর্চা।
মূল বাড়ি: তেলিয়ামুড়া।
এএমসি ওয়ার্ড নম্বর: ৫।
বিধানসভা কেন্দ্র: ২৮-তেলিয়ামুড়া।

নবাদল বণিকের পরিবর্তে প্রদেশ যুব মোর্চার সভাপতির দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন প্রাক্তন ছাত্র নেতা জিতেন্দ্র দত্ত ও দুই যুব নেতা প্রসেনজিৎ ঘোষ ও মানিক দেবনাথ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে জিতেন্দ্র দত্তের বিরুদ্ধে। প্রদেশ বিজেপির যুবাদের বড় অংশ তাকে বহিরাগত বলে দাবি করছে। কারণ জিতেন্দ্র মূলত অসমের শিলচরের বাসিন্দা। তবে ১৮ সালের আগেই জিতেন্দ্র ত্রিপুরায় এসে এবিভিপির দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরও জিতেন্দ্র শিক্ষা অঙ্গনে এবিভিপির প্রসার প্রত্যাশা অনুযায়ী করতে পারেন নি বলে দাবি রাজনীতিকদের। জিতেন্দ্র দত্ত ত্রিপুরাকে আকড়ে ধরেই রাজনীতির ক্যারিয়ার তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই তিনি এখন স্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন ত্রিপুরায়। জিতেন্দ্র দত্ত বর্তমানে বনমালী পুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার। তাকে নিয়েই এখন তৈরি হচ্ছে বিতর্ক। জিতেন্দ্র দত্তের নাম প্রদেশ যুব মোর্চার সভাপতি হিসাবে উঠে আসতেই গুঞ্জন শুরু।

তাহলে, কি ত্রিপুরার ভূমি পুত্রদের এমন কেউ নেই,যিনি প্রদেশ বিজেপির যুব ব্রিগেডের দায়িত্ব সামলাতে পারেন। নাকি রাজ্যের যুব নেতাদের প্রতি আস্থা রাখতে পারছে না শীর্ষ নেতৃত্ব? যুব মোর্চার রাজ্য কমিটি, জেলা স্তর ও মণ্ডল স্তরে কি সভাপতি হওয়ার মতো কোনো যোগ্য নেতা নেই? এরকম নানান প্রশ্ন উকি দিচ্ছে বিজেপির অন্দরে।
গেরুয়া বাড়ির তথ্য বলছে, জিতেন্দ্র ওরফে রুপম ছাড়াও সদর জেলার শহরাঞ্চলের যুব মোর্চার সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ, খোয়াই জেলার যুব মোর্চার সভাপতি মানিক দেবনাথ সহ যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির মধ্যে থাকা কয়েকজন যুব নেতাকে আতশ কাচের নিচে রাখছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তাদের মধ্যে থেকেও আসতে পারেন নবাদল বণিকের চেয়ারে। তবে এখনো নাম চূড়ান্ত হয় নি। সবটাই চলছে আলোচনার বিষয়ে। কারণ এখনো নবাদল প্রদেশ যুব মোর্চার সভাপতি। নবাদল পদত্যাগ করলেই বিজেপির গবেষণাগারে শুরু হয়ে যাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা। এবং তারপরই বেরিয়ে আসবে পরীক্ষা লব্ধ ফল।বলছেন রাজনিতিকরা।