
ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
এডিসির ভিলেজ কাউন্সিল নির্বাচন নিয়ে ফের সরব প্রধান বিরোধী দল তিপ্রামথা। এবার সরাসরি দ্বারস্থ হলো আদালতে। গত ৫ এপ্রিল ত্রিপুরা হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা হয়েছে মামলা । আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা। মথার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যান্টনি দেববর্মা। বিধানসভা নির্বাচন সাঙ্গ হতেই তিপ্রামথা ভিলেজ নির্বাচন নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠে। খবর অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনও ভিলিজ নির্বাচনের জন্য ধীরে ধীরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্ভবত চলতি বছরের মে – জুন মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে ভিলেজ ভোট। তার মধ্যে ভিলেজ ভোট করার জন্য আদালতে হাবি হয়েছে তিপ্রামথা নেতৃত্ব। তাদের এই অবস্থান থেকে স্পষ্ট প্রদ্যুৎ কিশোর ভিলেজ ভোট নিয়ে কতটা উদগ্রীপ।

মথা নেতৃত্ব বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন, বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফলের রেশ থাকতে থাকতেই ভিলেজ ভোট করতে পারলে আক্ষরিক অর্থে তারা লাভবান হবে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সাংবিধানিক সমাধানে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড না থাকলে পাহাড়ে ধস নামবে। সাধারণ জনজাতিরা মুখ ফিরিয়ে নেবে মথার দিক থেকে।তখন ভিলেজ নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। তা থেকে ক্রিম তুলে নেবে বিজেপি। এখনই এই আতঙ্ক তাড়া করছে তিপ্রা মথাকে। এই কারণেই যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি ভিলেজ নির্বাচন সেরে নিতে চাইছে মথা শিবির।

ত্রিপুরা হাই কোর্টে গত ৫এপ্রিল মামলা দায়ের করার পর তিপ্রামথার নেতা তথা আইনজীবী অ্যান্টনি দেববর্মা বলেন, টানা দুই বছর ধরে অনৈতিক ভাবে আটকে রাখা হয়েছে ভিলেজ কাউন্সিলের নির্বাচন। এটা কোনো মানে হয় না। ভিলেজ কাউন্সিলের নির্বাচন না হওয়াতে আটকে আছে উন্নয়ন মূলক কাজও। তবে এডিসি প্রশাসন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাতেও হচ্ছে সমস্যা।কারণ ভিলেজ কাউন্সিল গুলিতে নির্বাচিত সদস্য না।থাকতে নানান সরকারী কাজকর্মে সাধারন মানুষকে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই সমস্যা থেকে মানুষকে উত্তরণের জন্য দরকার ভিলেজ নির্বাচন। সাংবিধানিক নিয়ম মেনে ভিলেজ কাউন্সিলের নির্বাচন হলে সাধারণ মানুষ পাবে তাদের জন প্রতিনিধিদের। তখন ভিলেজের কাজকর্ম চলবে স্বাভাবিক গতিতে। জনজাতিদের উন্নয়নের জন্য ভিলেজের কাউন্সিলের নির্বাচন খুব গুরুত্ব পূর্ণ।

অ্যান্টনি দেববর্মার কথায়, জনজাতিদের সমস্যা দূর করতে বারবার সাক্রিয় তিপ্রামথা। মানুষের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখেই মথা ভিলেজ ভোটের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। এখন গোটা বিষয় দেখবে আদালত। প্রসঙ্গত, এর আগে এডিসি নির্বাচনের জন্য তিপ্রামথা উচ্চ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালত নির্দিষ্ট বেধে দিয়েছিল। এবং এই সময়ের মধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন অনুষ্ঠিত করেছিল এডিসি ভোট। এই এডিসি নির্বাচনেই রাজ্য রাজনীতিতে উত্থান ঘটেছিলো প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপ্রামথার।