রাজধানীতে ধৃত মাদক কারবারী।

ডেস্ক রিপোর্টার, ১৮অক্টোবর।।
                    সম্প্রতি রাজধানী আগরতলায় চোর, ছিনতাইবাজ ও মাদক কারবারীদের অবাধ বিচরণ শুরু হয়েছিলো। নগরের মানুষ হয়ে উঠেছিলো দিশাহীন। অসহায়ের মতো আত্মসমর্পণ করেছিলো স্মার্ট সিটির পুলিশ।
                    এক দিকে অপরাধীদের বাড়বাড়ন্ত, অন্য দিকে ভোট ইস্যুতে পুলিশের “রদবদলে”র কারণে পাল্টে যায় রাজধানী পুলিশের খোলনলচে।শহরের পূর্ব ও পশ্চিম থানায় ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয় রানা চ্যাটার্জী ও জয়ন্ত দেকে। সদর এসডিপিওর চেয়ারে বসানো হয় অভিজ্ঞ পুলিশ আধিকারিক অজয় কুমার দাসকে।তিনি দীর্ঘ সময় ছিলেন ক্রাইম ব্রাঞ্চে। বেশ কিছু হাই-প্রোফাইল মামলা তিনি তদন্ত করেছেন।নিঃসন্দেহে তার অভিজ্ঞতার বহর বেশ গভীর।

শহরে ধৃত দুই বাংলাদেশী নাগরিক।

এসডিপিও অজয় কুমার দাসের নেতৃত্বে দুই থানার ওসি দারুন ভাবে কাজ শুরু করেছেন। রাজধানী পুলিশের এই ত্রিফলা আক্রমনে নাভি শ্বাস উঠছে অপরাধীদের। তারা অল্প সময়েই বেশ কিছু সাফল্য পেয়েছে। আতঙ্ক বাড়ছে অপরাধের কুশীলবদের মৃগয়া ক্ষেত্রে। গত ২৪ঘণ্টায় ভিন্ন ভিন্ন মামলায় ছয় দাগী অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে। এবং উদ্ধার করেছে নেশা সামগ্রী।


রাজধানীর পুলিশ জানিয়েছে, শেষ রাতে পশ্চিম থানা, বটতলা ফাঁড়ি ও রামনগর ফাঁড়ি পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয় দুই নেশা কারবারীকে। একজন কুদুস মিয়া (ভাটি অভয়নগর) ও অপর জন মামন মিয়া (রামনগর)। তাদের কাছ থেকে ব্রাউন সুগারের দুইটি প্যাকেট উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত ব্রাউন সুগারের পরিমান ১৬গ্রাম।ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ এনডিপিএস অ্যাক্টসে মামলা রুজু করেছে।


এদিনই  শহরের পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে পূর্ব থানাধীন  মঠ চৌমূহনী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সৌম্যব্রত বনিক নামে (৩০) এক নেশাকারবারীকে। উদ্ধার করে ৭.৫৩গ্রাম হেরোইন। এবং মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
          গত ১৬অক্টোবর রাতে পুলিশ দুই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে। ধৃতরা হলো কামরুজ জামান ও হাফিজ সর্দার। তাদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
          শহরের পুলিশের এই ধরনের সাফল্য নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে এই ধারাবাহিকতা শহরের পুলিশ কত দিন ধরে রাখতে পারবে? কথিত আছে,কোনো পুলিশ আধিকারিক কোনো জায়গাতে নতুন দায়িত্ব পেলে প্রথম দিকে অপরাধ দমনে দারুন ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু কিছু দিন গেলেই পুলিশের আক্রমণের ধার কমে যায়। তার পেছনে অবশ্যই নানান কারণও থাকে।  এসডিপিও অজয় দাসের নেতৃত্বের রাজধানীর পুলিশ এখন পর্যন্ত নেশা কারবারের মহীরুহদের কাছ পৌঁছতে পারেনি। তবে নগরের মানুষ আশা করছেন রাজধানী পুলিশের এই টিম অপরাধীদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষনা করতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *