
ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
ওএনজিসি ত্রিপুরা এসেটে ফের শুরু রগরগে নিগোসিয়েশন।গঠিত হলো নতুন নিগোসিয়েশন গ্রুপ।নতুন গ্রুপের মার্কেটিং ম্যানেজার প্রাণজিত ভৌমিক।বিজেপি কর্মী বিশ্বজিৎ পাল হত্যাকান্ডের অভিযুক্ত প্রাণজিত নতুন গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার ইন্দ্রজিত নমঃ। গোটা সিস্টেমের অন্তরালে আছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।১২টি জলের ট্যাঙ্কারের টেন্ডারে মোট ভ্যালু ১০কোটি টাকা।

২০১৮ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাধারঘাট বিধানসভার মিলনচক্র এলাকায় খুন হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী বিশ্বজিৎ পাল। রাতের অন্ধকারে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ডের মূল মাষ্টার মাইন্ড ছিলো প্রাণজিত ভৌমিক। এই প্রাণজিতই নাকি এখন ওএনজিসির নিগোসিয়েশন চক্রের নতুন গ্রুপের মার্কেটিং ম্যানেজার। এই গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার সিদ্ধি আশ্রম এলাকার যুবক ইন্দ্রজিৎ নম:।

সঙ্গে আছে হাপানিয়ার তুলসী পালের লোকজন। তুলসী পাল রাজ্যের এক প্রাক্তন মন্ত্রীর ভাই। মূলত তাদের পৃষ্ঠ পোষকতায় ওএনজিসিতে ফের নতুন উদ্যমে শুরু হয়েছে নিগোসিয়েশন। কোথায় রাজ্য পুলিশের জিরো টলারেন্স নীতি?জনমনে উঠছে প্রশ্ন।

ওএনজিসির ত্রিপুরা এসেটের অন্দর মহলের খবর,সম্প্রতি ওএনজিসিতে ১২টি জলের ট্যাংকারের টেন্ডার বের হয়। গত শুক্রবার ছিলো টেন্ডার ড্রাপিংয়ের শেষ দিন। এই জলের ট্যাঙ্কারের টেন্ডার কেন্দ্র করে নতুন মাত্রা পায় নিগোসিয়েশন কারবার। কারবারীরা সংগ্রহ করে অতিরিক্ত অক্সিজেন। বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ডের মাষ্টার মাইন্ড প্রাণজিত সমস্ত ঠিকাদারদের সঙ্গে নিগোসিয়েশন সংক্রান্ত আলোচনা শুরু করে।

দফায় দফায় হয় গোল টেবিল বৈঠক।এই বৈঠকে ছিলো গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার ইন্দ্রজিত নম:। সিদ্ধি আশ্রমস্থিত তার দোকানেই হয়েছে অধিকাংশ বৈঠক। এই বৈঠকে হাপানিয়ার তুলসী পাল, রাজু সহ অন্যান্যরা ছিলো। বাধারঘাট বিধানসভার অন্যান্য জায়গার যুবকরাও বৈঠক গুলিতে হাজিরা দিয়েছিলো।

তথ্য বলছে, রাজ্যের ও বহিঃ রাজ্যের অধিকাংশ ঠিকাদারদের সঙ্গে নিগো কারবারীরা নরমে গরমে সমঝোতা করলেও তিন ঠিকাদার সংস্থাকে আটকাতে পারেনি। খবর, বহিঃ রাজ্যের তিন ঠিকাদার সংস্থা টেন্ডার ড্রপ করে দিয়েছে।তবে তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে নিগো কারবারীরা। চেষ্টা চলছে সমঝোতায় আসার জন্য।

এতদিন ওএনজিসিতে কিন্তু নিগোসিয়েশন বন্ধ ছিল না । আড়ালে আবডালে হয়েছে নিগো বাণিজ্য। অভিযোগ, সবটাই ছিলো প্রাক্তন বিধায়কা মিমি মজুমদারের নখে দর্পে। ওএনজিসির গাড়ি ভাড়া খাটানো থেকে শুরু করে হাউস কিপিং সব কিছুতেই চলতো নিগোসিয়েশন। তখন নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের ব্যাটন ছিলো রাজ্যের এক প্রাক্তন মন্ত্রীর ভাই তুলসী ও তার সাগরেদদের হাতে।

সঙ্গে ছিল প্রাক্তন বিধায়কা মিমি মজুমদারের লোকজন। তারা এতদিন চেটে পুটে খেয়েছে। আগামী দিনে উপযুক্ত সময়ে জনতার মশাল তাদের মুখ ও মুখোশ উন্মোচন করবে। তাদের সম্পর্কে শ্রমিক ঠকানোর হাড় হিম করা তথ্য রয়েছে জনতার মশাল- র কাছে। প্রসঙ্গত ২৩- র নির্বাচনে বাধারঘাটের রাজনীতির ব্যাটন খসে যায় মিমি মজুমদারের হাত থেকে। এই ব্যাটন চলে আসে মীনা সরকারের কাছে। আর তাতে এখন ব্যাকফুটে মিমির গোষ্ঠী।

স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য, নতুন মাত্রায় শুরু হয়েছে ওএনজিসির নিগোসিয়েশন। অতীতে ওএনজিসির মধুর ভান্ড দখল কেন্দ্র করে ক্ষণে ক্ষণে তপ্ত হয়ে উঠতো সংশ্লিষ্ট অঞ্চল। এই মুহূর্তে ওএনজিসিতে পুনরায় নতুন মোড়কে নিগোসিয়েশন কারবার শুরু হওয়াতে আতঙ্ক বিরাজ করছে জনমনে। আতঙ্কের প্রহর গুনতে শুরু করেছেন ঠিকাদার গোষ্ঠীও। আর তাতেই অবনতি হতে পারে শহর দক্ষিণের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি ঠুনকো?