ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
             কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে।ফের তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে।নাম লেখালেন দল বদলুর তালিকায়। এখন একেবারে গুরুত্বহীন।রাজনৈতিক জীবন ঘোর সঙ্কটে। ২৩- র নির্বাচনে টিকিট না পেলে ফুরিয়ে যাবে রাজনৈতিক জীবন। তিনি বাপটু চক্রবর্তী।
                  এক সময় কংগ্রেস রাজনীতির সম্ভবনাময় নেতাদের মধ্যে বাপটু ছিলেন প্রথম সারিতে। ২০১৩- র বিধানসভা নির্বাচনে খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু অল্প ভোটের ব্যবধানে হেভিওয়েট বাম প্রার্থী পবিত্র করের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। এরপরও বাপটু কংগ্রেসের ব্যাটন ধরে রেখে ছিলেন। ২০১৮- র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বাপটুকে টিকিট দেয় নি। বাপটু’ র ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য,তখন কংগ্রেসের নিশ্চিত পরাজয় হবে ভেবে বাপটু নির্বাচনে লড়াই করেন নি। বিজেপির ঝড়ের মধ্যেও বাপটু কংগ্রেসের পতাকা আগলে রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত গত বছর রাজ্যে আচমকা তৃণমূল কংগ্রেস মাথা চাড়া দেওয়ার পর বাপটুর রাজনৈতিক বিচ্যুতি ঘটে। যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ভেবে ছিলেন সুদীপ রায় বর্মনও যাবেন তৃণমূলে। তার আগেই প্রদেশ ঘাস ফুলের ব্যাটন ধরে রাজনৈতিক ব্যবসা সাজানোর চেস্টা করেছিলেন। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসে গিয়েও হতাশ হন বাপটু। তিনি কিছুই করতে পারেন নি। পুর ভোটে লড়াই করে ছিলেন।কিন্তু ব্যর্থ হন। তাছাড়া বাপটুর সঙ্গে এখন কোনো লোকজনও নেই।
                 রাজ্য রাজনীতির সমীকরণে হঠাৎ বদল ঘটে। সুদীপ রায় বর্মন তৃণমূলের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। তাতেই টি আর পি বেড়ে যায় সুদীপের। সঙ্গে কংগ্রেসেরও।   তখন হতাশাগ্রস্থ বাপটু তৃণমূলের সঙ্গ ছেড়ে যোগ দেন  কংগ্রেসে। ব্যাস, রাজনীতিকদের ধারণা ছিলো বাপটু এবার ফের দাগ কাটতে পারবেন রাজনীতিতে। কিন্তু তা হলো না। বর্তমান কংগ্রেসে বাপটু একেবারেই নিষ্প্রভ।বরং রাকু, শাহজাহানের মতো জুনিয়র ছেলেরা সুদীপ জামানায় প্রাধান্য পাচ্ছেন। কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর বাপটুকে কোনো কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না।এই পরিস্থিতিতে ২৩- এ বাপটু কি টিকিট পাবেন? তা নিয়ে গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে।
                 তাছাড়া সুদীপ ও বাপটুর অতীত সম্পর্ক খুব একটা লাভ নয়।১৩- র বিধানসভা নির্বাচনে বাপটুকে টিকিট দেয় নি কংগ্রেস।তখন প্রদেশ সভাপতি ছিলেন সুদীপ রায় বর্মন। শেষ পর্যন্ত বাপটু সুদীপকে টপকে গিয়ে রাহুল গান্ধীর মাধ্যমে নিজের টিকিট নিশ্চিত করেছিলেন। সুদীপ অবশ্যই সে কথা ভুলেন্ নি।বর্তমানেই সুদীপের সঙ্গে বাপটুর সম্পর্ক কতটা মধুর তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। বলতে গেলে এই মুহূর্তে বাপটু কংগ্রেস রাজনীতির সাইড লাইনে আছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *