ডেস্ক রিপোর্টার, ১৮ফেব্রুয়ারি।।
বিজেপির প্রবল বিক্রমে ১৮- র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভোট নেমে এসেছিল দেড় শতাংশে। রাজ্য রাজনীতির রাজ্য রাজনীতির শাসক – বিরোধী উভয় ব্যঞ্চে সময় কাটানো কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে কেউ স্বপ্নেও ভাবে নি।
কিন্তু মানুষের চিন্তা ভাবনাকে ভুল প্রমাণিত করে ১৯- র লোকসভা নির্বাচনে ২৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল কংগ্রেস। অবশ্যই সেই সময় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন। মূলত তার করিশমায় কংগ্রেসের ভোট ব্যাংক ফুলে ফেঁপে উঠেছিলো। যদিও প্রদ্যুৎ কিশোর পরবর্তী সময়ে কংগ্রেস ছেড়ে গঠন করেছিলেন তিপ্রামথা।
মাঝখানে পুর ও নগর ভোটে কংগ্রেস সুবিধা করতে পারেনি।কারণ তখন আচমকা মাথা গজিয়ে উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। টিএমসি ২৩ শতাংশ ভোটে ভাগ বসায়।এই ভোট মূলত ছিলো কংগ্রেসের।কিন্তু তখন মানুষ টিএমসির বাহার দেখে আস্থা প্রদর্শন করেছিলো মমতার দলের প্রতি।পেছনে অবশ্যই ছিলো সুদীপ রায় বর্মনের হাত। তৎকালীন সময়ে সুদীপ বিজেপিতে পদ্ম শিবিরে বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন।
পরবর্তী সময়ে সুদীপ রায় বর্মন বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেয়।তাতেও প্রদেশ কংগ্রেসের মরা গাঙে জল আসে।এবং ধীরে ধীরে নতুন চেহারায় ফিরে আসে কংগ্রেস। ২৩ র নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে নিয়ে লড়াইয়ে নামে বিজেপির বিরুদ্ধে।এবং নির্বাচনে কংগ্রেস ১৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। সাঙ্গ হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন।এখন শুরু হয়েছে আলোচনা। কে দখল করতে পারে ক্ষমতা। কংগ্রেসের আসন সংখ্যার দিকে তাকিয়ে আছে মানুষ।
রাজনীতিকরা বলছেন, টানা পাঁচ বছর পর ২৩ – র নির্বাচনে ফের খাতা খুলবে কংগ্রেস।তবে তার আগে উপ ভোটে সুদীপ রায় বর্মন জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৪- ৫টি আসন পেতে পারে। আগরতলা কেন্দ্রে বাজির দর কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মনের দিকে।একই ভাবে কৈলাসহরে বাজির দর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহার দিকে। রাজনীতিকদের দাবি এই দুইটি আসন কংগ্রেস নিশ্চিত ভাবে দখল করতে পারবে। বনমালীপুর আসনেও কংগ্রেস প্রার্থী গোপাল রায়ের দিকে কিছুটা ঝুঁকে আছে।বাম ভোটারা কংগ্রেসকে অতিরিক্ত অক্সিজেন দিয়েছে।৮- টাউন বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্রটি এখন ৫০- ৫০ অবস্থানে আছে। এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার সঙ্গে জোর লড়াই হবে কংগ্রেস প্রার্থী আশীষ কুমার সাহার। কেন্দ্রটিতে আশীষ সাহা জয়ী হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলেই মনে করছেন রাজনীতিকরা। করমছড়া বিধানসভা কেন্দ্রটিতেও কংগ্রেসের অবস্থান ৫০- ৫০ । এই কেন্দ্রে তিপ্রামথার সঙ্গে লড়াই হবে।এই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী দিবা চন্দ্র রাঙ্খল ধারাবাহিক ভাবে জয়ী হয়ে আসছেন।নিশ্চিত ভাবে এই কেন্দ্রে তার একটা ভোট ব্যাংক রয়েছে। পাবিয়াছড়া কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী। মন্ত্রী ভগবান দাসের অবস্থা ভালো নয়। কংগ্রেস প্রার্থী সত্যবান দাসের সঙ্গে জোর লড়াই হবে। এই কেন্দ্র থেকে সত্যবান দাসের জয়ের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে রাজনীতিকরা। তাই লড়াই হবে চূড়ান্ত পর্যায়ে । সব মিলিয়েই রাজনীতিকরা কংগ্রেসের দিকে বাজি ধরছে ৪- ৫টি আসন।
