
ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
২৩ বিধানসভা নির্বাচন ভোট কেন্দ্র করে সব রাজনৈতিক দলই চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। শাসক থেকে বিরোধী সব দলেই একই চিত্র। আগামী কিছুদিনের মধ্যে প্রদেশ কংগ্রেসেও বড় রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবং এই রদবদলের পর ফের কংগ্রেসে দেখা দিতে পারে ভাঙন। খবর অনুযায়ী,আগামী ডিসেম্বর মাসে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির চেয়ার খোয়াছেন বীরজিত সিনহা। তার স্থলাভিসিক্ত হচ্ছেন কংগ্রেস নেতা আশীষ কুমার সাহা।
কংগ্রেস রাজনীতিতে গুঞ্জন, তখনই ফের কংগ্রেসের সংসারে জ্বলে উঠবে আগুন।দল ছাড়বেন বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহা। খুব সহসা বীরজিত যে পদ হারাচ্ছেন এআইসিসি তার আগাম আভাসও দিয়েছে ইতিমধ্যে। এই বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পর বীরজিত সিনহা কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্তও নাকি নিয়েছেন।তাহলে তিনি যাবেন কোন রাজনৈতিক দলে? উত্তর একটাই ভারতীয় জনতা পার্টি।
রাজনীতির অন্দর মহলের খবর,শুক্রবার দেশের রাজধানীতে বসে বীরজিত সিনহা তার পরবর্তী রাজনৈতিক গন্তব্যস্থল নিয়েও প্রাথমিক আলোচনা সেরে নিয়েছেন।দিল্লি সূত্রের দাবী,এদিন দুপুরে দিল্লি ত্রিপুরা ভবনে প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহা। লোকচক্ষুর অন্তরালে দুই নেতার গোপন বৈঠকে হয়েছে বিস্তারিত আলোচনা। অর্থাৎ বীরজিত তার পথ খোলা রেখে দিয়েছেন। পদ হারালেও তিনি বিকল্প হিসাবে বেছে নেবেন বিজেপিকে। কৈলাসহরের স্থানীয় বিজেপি নেতা নীতীশও দে এক্ষেত্রে একটা ভূমিকা পালন করছেন। কারণ বীরজিতকে বিজেপিতে সামিল করতে পারলে কৈলাসহর আসনটি নিঃসন্দেহে চলে যাবে বিজেপির দখলে।এতে কোনো সন্দেহ নেই।

বীরজিত নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, ভোটের মুখে যদি তাকে সভাপতি চেয়ার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তিনি বড় রকমের সিদ্ধান্ত নিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বীরজিৎ ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, যখন কংগ্রেস ভবনে বাতি জ্বালানোর কেউ দিলো না, তখন বীরজিত তার অনুগামীদের নিয়ে রক্ষা করে গেছেন কংগ্রেস ভবনকে। কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে গোটা রাজ্যে কাজ করেছেন।
এ আইসিসির খবর অনুযায়ী, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রদেশ কংগ্রেসের জন্য নতুন মুখ আনতে চাইছে। কংগ্রেসের হাই কমান্ড নিশ্চিতভাবে বুঝতে পেরেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের মূল সৈনিক সুদীপ ও আশীষ। তারা পুনরায় দলে আসার পরেই ফুলেঁপে উঠেছে কংগ্রেস।প্রতিদিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে শাসক দল বিজেপিকে। বীরজিত দীর্ঘসময় কংগ্রেসের ব্যাটন ধরে রাখলেও সেই মাত্রায় নিয়ে যেতে পারেন নি। আক্ষরিক অর্থে সুদীপ আশীষরা, কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার পরেই “মরা গাঙে” জল এসেছে।
পোস্ট অফিস চৌমুহনীর খবর অনুযায়ী,সুদীপ- আশীষরা কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার সময়ই এই “চুক্তি” সেরে নিয়েছিলেন। তাদের দাবি ছিল, সুদীপ সভাপতি হবেন না। সভাপতি করতে হবে আশীষকে। কংগ্রেসের হাই-কমান্ড তাদের এই দাবি মেনে নিয়েই কংগ্রেসে যোগদান করিয়েছে বিরোধীদের। সভাপতি পদ থেকে বিরোধীদের অপসারণ ছিল সময়ের অপেক্ষা। এখন এসেছে সেই মোক্ষম সময়। পুরোনো চুক্তি মোতাবেকই ২৩’র ভোটে কংগ্রেস মুখ আশীষ সাহাকে। এবং এটাই বাস্তব।