কংগ্রেসের ভোটেই ক্ষমতায় বিজেপি, ফের বিস্ফোরক সুদীপ। নিজের ভীত শক্ত করতে করছেন রাজ্য পরিক্রমা করে।

ডেস্ক রিপোর্টার,১৯ জানুয়ারি।।
” রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি’র ভোট ছিলো মাত্র ১.৫৭শতাংশ। ২০১৮ সালে কংগ্রেসের ভোটেই ক্ষমতায় আসে বিজেপি।”—বক্তা বিজেপি’র বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।বুধবার ধর্মনগর সফরে গিয়ে সুদীপ রায় বর্মন ফের করলেন বিস্ফোরক মন্তব্য। সুদীপ বুঝিয়ে দিলেন বিজেপি’র কিছুই নেই।শুধুমাত্র কংগ্রেসের ভোটের উপর ভিত্তি করেই ক্ষমতায় এসেছিলো গেরুয়া বাহিনী। সুদীপ রায় বর্মন তাঁর এই বক্তব্যের মধ্যদিয়ে নিজের দল(এখন পর্যন্ত) বিজেপিকে হালকা চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশারদরা।
বিগত কিছু দিন ধরে বিজেপি’র দুই বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন ও আশীষ সাহা রাজ্য পরিক্রমা করছেন।তারা সফর করেছেন প্রতিটি জেলা ও মহকুমাতে। সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলিতে গিয়ে তারা সাক্ষাৎ করেছেন কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের সঙ্গে।তাছাড়া জেলা ও মহকুমা স্তরের প্রবীণ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন তারা। নবীন-প্রবীণ প্রত্যেকের সঙ্গে আলোচনা করেছেন রাজনীতি নিয়ে। এই সমস্ত নেতা-কর্মীদের শিরা-ধমনীতে চলতে থাকা রাজনৈতিক পালসেরও খোঁজ করছেন তিনি।কারণ ২৩-এ নতুন ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন সুদীপ রায় বর্মন।তার আগে সুদীপ রায় বর্মন তাঁর সমর্থনের জল মেপে নিচ্ছেন গোটা রাজ্যে।
সুদীপ রায় বর্মন বুধবার ছুটে যান ধর্মনগরে। সঙ্গে ছিলেন অপর বিধায়ক আশীষ সাহা।দুই বিধায়কের ধর্মনগর সফরের খবর পেয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা ছুটে আসেন। খবর অনুযায়ী, সুদীপ রায় বর্মন ধর্মনগরে পৌঁছে সোজা চলে যান “বন্ধুর নাম সুদীপ” এই সংগঠনের নেতা স্বপন তালুকদারের বাড়িতে। এখন থেকে চলে আসেন ধর্মনগর সার্কিট হাউসে। সার্কিট হাউসে কয়েক ঘন্টা অবস্থান করেছিলেন সুদীপ রায় বর্মন।এই সময় সুদীপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন উত্তর জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ পাল,জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অজিত পাল, ধর্মনগর পুর পরিষদ নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করা প্রার্থীরা একে একে চলে আসেন সার্কিট হাউসে। প্রত্যেকেই সুদীপ রায় বর্মনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করেন। অনেকেই চুপিচারে সার্কিট হাউসে এসে সাক্ষাৎ করেন সুদীপ রায় বর্মনের সঙ্গে।
এদিন ধর্মনগর সার্কিট হাউসে দাঁড়িয়ে সুদীপ রায় বর্মন ফের তার দল বিজেপিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুদীপ রায় বর্মন বলেন, এই রাজ্যের বিজেপি’র বড় মাপের কোনো “ভোট ব্যাংক” ছিলো না। কংগ্রেসের ভোটে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। সুদীপ রায় বর্মন তাঁর ধর্মনগর সফর সম্পর্কে বলেন,” বিগত বহু বছর পর তিনি ধর্মনগরে এসেছেন রাজনৈতিক সহকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে।তবে এটা রাজনৈতিক সাক্ষাৎ নয়।শুধুমাত্র সম্পর্কের টানে ধর্মনগরে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নানান ইস্যুতে আলোচনা করেন।
ধর্মনগর সফরে এসেও সুদীপ রায় বর্মন ফের সুর চড়িয়ে বলেন, “২৩-র বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপি’র টিকিটে লড়াই করবেন না।তাহলে কোন দলে যাবেন?স্মার্টলি সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান সুদীপ রায় বর্মন।তিনি বলেন, ” আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।তারপরেই তিনি জানাবেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।”
রাজনীতিকরা বলছেন, সুদীপ রায় বর্মন যাই বলুক না কেন? সুদীপ ধর্মনগরে গিয়ে মূলত কংগ্রেসের সংগঠনের খোঁজ খবর নিয়ে এলেন।আগামী দিনে কংগ্রেসের এই সংগঠনকে বিজেপি’র বিরুদ্ধে আরো শক্তিশালী করে তোলার জন্যই যে সুদীপ গোটা রাজ্য চষে বেড়াচ্ছে তা অপেক্ষা রাখে না।