ডেস্ক রিপোর্টার,১৬নভেম্বর।।
খবরের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া মুম্বাইয়ের দুই মহিলাকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিলো আদালত।সোমবার উদয়পুর কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়া ভিন রাজ্যের দুই মহিলা সাংবাদিক মঙ্গলবার হাজিরা দেন কাকড়া বন থানায়।এরপর তারা রাজ্য ত্যাগের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন বলে জানা যায়।
মুম্বাইয়ের অন্ধেরির নিউজ ওয়েব পোর্টাল “এইচ ডব্লু নিউজ নেটওয়ার্ক”র দুই মহিলা সাংবাদিক এসেছিলেন রাজ্যে।তারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে ঘুরাফেরা করে সংবাদ সংগ্রহ করেন। সম্প্রতি বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় জের ধরে রাজ্যের কিছু কিছু জায়গাতে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিলো।যদিও তা বড় আকার ধারণ করতে পারেনি পুলিশের তৎপরতায়।
মুম্বাই থেকে আগত দুই মহিলা সাংবাদিক সমৃদ্ধি সাকুনিয়া ও স্বর্ণা ঝা রাজ্যে এসে খবর সংগ্রহ করেন।তাদের ওয়েব পোর্টালে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে,”রাজ্যের উদয়পুরের কাকড়াবনে মসজিদে আক্রমণ করা হয়েছে।পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মসজিদ।” এই খবরের পর মহারাষ্ট্রে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ রাস্তায় নেমে যায়। রাজ্য প্রশাসনের দাবি, বাস্তব অর্থে ত্রিপুরাতে এমন কোনো ঘটনা হয়নি।সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দিয়ে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা অবনতি করার চেষ্টা করেছেন দুই মহিলা সাংবাদিক। তার পেছনে রয়েছে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর কাকড়াবন থানার পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ,১৫৩বি,১৯৩,৫০৪,১২০বি ও ২০৪ ধারায় মামলা রুজু করে। তার আগেই মুম্বাইয়ের দুই মহিলা সাংবাদিক সমৃদ্ধি সাকুনিয়া ও স্বর্ণা ঝা রাজ্য ছেড়ে চলে যায় অসমের নিলাম বাজারে।রাজ্য পুলিশের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে নিলাম বাজার থানার পুলিশ মুম্বাইয়ের দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করে। পরবর্তী সময়ে রাজ্য পুলিশ নিলাম বাজারে গিয়ে সাংবাদিক সমৃদ্ধি সাকুনিয়া ও স্বর্ণা ঝাকে নিয়ে আসে কাকড়াবনে। নিয়ম অনুযায়ী পুলিশ দুই সাংবাদিককে আদালতে সোপর্দ করেছিলো।আদালত শর্ত সাপেক্ষে জামিনে মুক্তি দেয় ভিন রাজ্যের দুই মহিলা কলমচিকে। আদালত যখনই ডাকবে তখনই তাদের হাজিরা দিতে হবে।এরকম শর্ত বেঁধে দিয়েছিলো আদালত।
পুলিশ সূত্রের দাবি, শুধু কাকড়াবন থানায় নয়, গত ১৪ নভেম্বর ফটিকরায় থানাতেও মুম্বাইয়ের সাংবাদিক সমৃদ্ধি সাকুনিয়া ও স্বর্ণা ঝার বিরুদ্ধে মামলা(৩৯/২১)দায়ের করেছিলো পুলিশ।ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ১৫৩এ ও ৫০৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিলো। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্থানীয় নেতা কাঞ্চন দাস মামলা দায়ের করেছিলেন। তারা ফটিকরায় থেকে ধর্মনগরে এসে একটি হোটেলে অবস্থান করেছিলো।এবং সেখানেই তাদেরকে পুলিশ নোটিশ ধরিয়ে দিয়েছিলো।
