ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
” রাজ্যে প্রতি মাসে নিয়ম করেই ঘটছে ১৩টি করে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনা। অথচ রাজা নীরু চুপ করে বসে আছেন।বাজাচ্ছেন বেহালা”। বক্তা রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। রাজ্যের আইন – শৃঙ্খলার ইস্যুতে সুদীপ নাম না করেই মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহাকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করে একথা বলেছেন।
কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন শুক্রবার কংগ্রেস ভবনে সংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, শাসক দল বিজেপি গোটা রাজ্য জুড়ে সুশাসনের স্লোগান তুলছে। সরকারী কোষাগারের টাকা খরচ করে দিচ্ছে বিজ্ঞাপন। কিন্তু কোথায়ও সুশাসনের বলাই নেই। বিজেপির কুশাসকের রাজত্বকে হার মানিয়েছে তথাকথিত সুশাসনের জঙ্গলরাজ।
সুদীপ রায় বর্মনের কথায়,
ধর্ষণ ও গণধর্ষণ কাণ্ডে জড়িয়ে যাচ্ছে মন্ত্রীর পুত্র, শাসক দলের প্রধান, উপপ্রধান, পুর পরিষদের নির্বাচিত সদস্যার স্বামী। আর মুখে আঙ্গুল দিয়ে বসে আছেন সুশাসনের কান্ডারী।তিনি অভিযুকদের গ্রেফতার করিয়ে ঘটনা ধাপাচাপা দেওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।ফলে দেশ, বিদেশে হানি হচ্ছে রাজ্যের সন্মান। সুদীপ রায় বর্মন অভিযোগ,করে বলেন পুলিশকে কাজ করার জন্য ফ্রী হ্যান্ড দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ ইচ্ছা করলেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারে।কিন্তু তারা শাসক দলের চাপে নত হয়ে আছে। ক্ষমতা থাকা সত্বেও পুলিশ কাজ করতে পারছে না।তাদের হাতে পরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক বেরী।
“মন্ত্রীর ধর্ষক পুত্রকে পর্দার আড়াল করতে শাসক দল বিজেপি নির্লজ্জের মতো সংবাদিক সম্মেলন করে। এবং ভুয়ো ভিডিও দেখিয়ে দাবি করে, মন্ত্রীর পুত্র ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িত ছিল না।” যোগ করেছেন সুদীপ। বিরোধীরা এই সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে সরব হতেই চাপে পড়ে যায় বিজেপি। এবং বিরোধীদের নামে অপপ্রচার শুরু করে দেয় বলেও সুদীপের দাবি।
কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন, পুলিশকে নিজেদের কাজ সঠিক ভাবে করার জন্য অনুরোধ করেন।সুদীপ বলেন, বিজেপির শাসন কাল মাত্র আছে মাস। এরপর পুলিশকে মানুষের কাছে তাদের কাজের জবাবদিহি করতে হবে।এই মুহুর্তে পুলিশের প্রতি অপরাধীদের ভয় ভীতি কেটে গেছে।এই কারণে তারা অপরাধীরা অপরাধ সংঘটিত করতে দ্বিধা বোধ করছে না।
টিসিএ ইস্যুতে সুদীপ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নক্কার জনক টিসিএ’র ভোটে হস্তক্ষেপ করেছেন।কারণ টি সি এ’র মধুর ভান্ড দখল করতেই নিজের পছন্দের লোকজনকে বসিয়ে দিয়েছে। আগরতলা পোস্ট অফিস চৌমুহনীস্থিত কংগ্রেস ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদিক সম্মেলনে সুদীপ রায় বর্মন আগাগোড়া তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন শাসক দল বিজেপি ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাকে।
এদিন শাসক দল বিজেপিকে বড় ঝটকা দেয় কংগ্রেস। ধলাই জেলার সভাধিপতি রুবি ঘোষ বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তার হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন সুদীপ রায় বর্মন, আশীষ কুমার সাহা, প্রদেশ কংগ্রেসের প্রবক্তা প্রশান্ত ভট্টাচার্য্য। রুবি ঘোষ বলেন, শাসক দল বিজেপির নৈতিক অধ:পতন হয়েছে। দলে চলছে লুঠের রাজত্ব। নিরাপত্তা নেই মহিলাদের। এই সমস্ত কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই রুবি ঘোষ বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
খোয়াইয়ের সমাজসেবী প্রদ্যুত ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১৮ পরিবারের ১১৭জন ভোটার কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেস ভবনে প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্যের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন উপস্থিত কংগ্রেস নেতৃত্ব। সুদীপ রায় বর্মন সংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন,৩৪ রাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রের ২৫ জন বিজেপির কার্যকর্তাও কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন এদিন।