ডেস্ক রিপোর্টার,২২অক্টোবর।।
একশো কোটি টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে দেশে।এই জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।শুক্রবার রাজ্য বিজেপি’র সদর দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য দেশ করোনার ভ্যাকসিনে সাফল্য পেয়েছে।রাজ্যেও করোনার প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কাজ সফল হয়েছে।
করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কেন্দ্র বরাবর রাজ্যের পাশে ছিল। চাহিদা অনুযায়ী রাজ্যকে দিয়েছে করোনার ভ্যাকসিন। করোনা কালে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সমস্ত কর্মীরা নিয়মিত কাজ করে গেছে। রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই গড়ে উঠেছে অক্সিজেন প্ল্যান্ট।পর্যাপ্ত অক্সিজেন রাজ্যে মজুত রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে তথ্য দিয়ে বলেন কোন কোন জেলায় অক্সিজেন সাপোর্টেড ব্যাড রয়েছে রাজ্যে।
মুখ্যমন্ত্রী তথ্য দিয়ে বলেন, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে সমগ্র দেশের সঙ্গে রাজ্যেও করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। রাজ্যে ২০ অক্টোবর, পর্যন্ত ৪০ লক্ষ ১০ হাজার ১০৯ জনকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২৫ লক্ষ ২ হাজার ৩৩ জনকে টিকার প্রথম ডোজ এবং ১৫ লক্ষ ৮ হাজার ৭৬ জনকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৯৫.৩৫ শতাংশ নাগরিক (১৮ বছর উর্ধ্বে) টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৬০.২৭ শতাংশ নাগরিক (১৮ বছর উর্ধ্বে) টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী কর্মীদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে থেকে ত্রিপুরায় প্রথমসারির কর্মীদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। চলতি বছরের ২০ অক্টোবর, পর্যন্ত রাজ্যে কোভিড-১৯ টিকাকরণে ৫৩ হাজার ৯১৭ জন স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী কর্মীদের টিকার প্রথম ডোজ এবং ৪৪ হাজার ৬২০ জন স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী কর্মীদের টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে রাজ্যে কোভিড-১৯ টিকাকরণে ৯৬ হাজার ৫৭৯ জন প্রথমসারির কর্মীদের টিকার প্রথম ডোজ এবং ৭৪ হাজার ৯১৪ জন প্রথমসারির কর্মীদের টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ টিকাকরণে ৭ লক্ষ ১০ হাজার ৩২৬ জন ৪৫ বছর বয়স থেকে ৫৯ বছর বয়সের নাগরিকদের টিকার প্রথম ডোজ এবং ৫ লক্ষ ১৬ হাজার ২১৬ জন ৪৫ বছর বয়স থেকে ৫৯ বছর বয়সের নাগরিকদের টিকার দ্বিতীয় দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে কোভিড-১৯ টিকাকরণে ৩ লক্ষ ৭৭ হাজার ৭৮৭ জন ৬০ বছর বয়সের উপর ব্যক্তিদের টিকার প্রথম ডোজ এবং ২ লক্ষ ৭৮ হাজার ৯৫৪ জন ৬০ বছর বয়সের উপর ব্যক্তিদের টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে চতুর্থ পর্যায়ে ১৮ বছর থেকে ৪৪ বছর বয়স পর্যন্ত নাগরিকদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। চলতি বছরের ২০ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে কোভিড-১৯ টিকাকরণে ১২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪২৪ জন ১৮ বছর থেকে ৪৪ বছর বয়স পর্যন্ত নাগরিকদের টিকার প্রথম ডোজ এবং ৫ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩৭২ জন ১৮ বছর ও তার উর্দ্ধে নাগরিকদের টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে জেলাভিত্তিক কোভিড-১৯ টিকাকরণের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ধলাই জেলায় প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ২,৫৭,৯৪১ জনকে (৯৯.০৪ শতাংশ)। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১,৪৭,২৪৫ জনকে (৫৭.০৮ শতাংশ)। গোমতী জেলায় প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ২, ৭৮,৬৮০ জনকে (৮৬.৬৫ শতাংশ)। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১,৪৯,৫২৬ জনকে (৫৩.৬৬ শতাংশ)। খোয়াই জেলায় প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ২,০১,৪১৯ জনকে (৯০.৮৪ শতাংশ)। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১,০০,০৫৮ জনকে (৪৯.৬৮ শতাংশ)। উত্তর ত্রিপুরা জেলায় প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ২,৮৩,০৬৪ জনকে (৯৮.১ শতাংশ)। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১,৮১,২৪০ জনকে (৬৪০৩ শতাংশ)। সিপাহীজলা জেলায় প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩,৩০,২৫৩ জনকে (৯৩.২৯ শতাংশ)। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১,৯৬, ৪৮৯ জনকে (৫৯.৫ শতাংশ)। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩,০৩,৫৬০ জনকে (৯৫.০৭ শতাংশ)। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ২,০২, ১৩৭ জনকে (৬৬.৫৯ শতাংশ)। ঊনকোটি জেলায় প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১,৭২,৪৬৪ জনকে (৯৬.৮৫ শতাংশ)। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৮৮, ১৬৫ জনকে (৫১.১২ শতাংশ)। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৬,৭৪,৬৫২ জনকে (৯৯.১৭ শতাংশ)। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৪,৪৩,২১৬ জনকে (৬৫.৭ শতাংশ)। ২১ অক্টোবর, ২০২১ পর্যন্ত রাজ্যে ৮ লক্ষ ১৭ হাজার ৫২০টি টিকার ডোজ মজুত রয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির সদস্য সচিব এক প্রেস বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।
