ডেস্ক রিপোর্টার, ৩মে।।
৩০ এপ্রিল থেকে ৩মে ।সময় এক মাস চারদিন।এই সময়ের মধ্যে পুলিশ দূর্গা প্রসন্ন হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত রাজু বর্মনকে জালে তুলতে ব্যর্থ। সঙ্গে ভিকি খুনের স্ক্রিপ্ট রাইটার অমিত ঘোষকেও ।রাজু’র কোর টিমের সদস্য বিমান দাস, প্রভাকর ঘোষ,দেবব্রত বর্মন, সুকান্ত গুপ্তরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তারা কোথায় অবস্থান করছে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই। অনুসন্ধানকারী পুলিশ ধাপে ধাপে এই মামলার সঙ্গে জড়িত সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও পুলিশ নাকি রাজু – বিমান – অমিতদের টিকির নাগাল পাচ্ছে না।

রাজু বর্মন ত্রিপুরায় নেই, কলকাতা সহ গোটা বাংলাতেও পুলিশ তাকে খোঁজ করছে। কিন্তু সন্ধান পাওয়া যায় নি। তাহলে কোথায় আছে রাজু? দেশের অন্য কোনও রাজ্যে ? তাহলে পশ্চিম বাংলা ব্যতীত অন্য কোনো রাজ্যে কি পুলিশ রাজুর সন্ধান করেছে? এমন তথ্য আপাতত নেই পুলিশের কাছে।
তদন্তকারী পুলিশের একাংশের দাবি, রাজু বর্মন তার লোকদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশেই অবস্থান করছে। যদি তাই হয়, পুলিশ কেন তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের কাছে রেড কর্নার নোটিশ জারি করছে না? তদন্তকারী পুলিশের এই অবস্থান যথেষ্ট রহস্য জনক।

সাম্প্রতিক কালে ভিকি হত্যা মামলার তদন্তের গতি কিছুটা হলেও স্লথ করেছে ।তবে শুক্রবার রাতে পুলিশ দূর্গাবাড়ি চা বাগানস্থিত শ্মশান ঘাটের পাশ থেকে উদ্ধার করে ভিকি খুনে ব্যবহৃত পিস্তল।গ্রেফতার হওয়া রাজু বর্মনের ভাই রাকেশ বর্মনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পিস্তল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।জানিয়েছেন আইনজীবী শঙ্কর লোধ।

রাজু বর্মন ও তার কোর টিমের সদস্য অমিত ঘোষ,বিমান দাস, প্রভাকর ঘোষ,দেবব্রত বর্মন, সুকান্ত গুপ্তরা এখনো নিরাপদে গা ঢাকা দিয়ে আছে। তাদেরকে গ্রেফতার না করতে পারলে আক্ষরিক অর্থে কোনো লাভ হবে না।তাদেরকে গ্রেফতারে বিলম্ব করে পুলিশ কি সন্তর্পনে মামলার তদন্তকে নিষ্প্রভ করে দিচ্ছে?বিনিময়ে কি সুগম করে দিচ্ছে আইনী মারপ্যাঁচ থেকে বাঁচার রাস্তা?পুলিশের এই মতি- গতি ভালো চোখে দেখছে না ঊষা বাজার অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।

তবে মামলা ধাপা চাপা দেওয়া রাজধানী পুলিশের জন্য নতুন কিছু নয়।অতীত ইতিহাসের পাতায় এরকম বহু রেকর্ড রয়েছে পুলিশের। শহরের চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা গুলির নব্বই শতাংশ’ র ক্ষেত্রেই মূল অভিযুক্তরা থাকে পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।তাদের কোনো বিচারই হয় নি। বাম জামানার এই তালিকা বেশ লম্বা। সেলিম মিয়া,স্বপন দাস, রতন মিয়া,আবুল মিয়া, সঞ্জীব দেবনাথ,বিধায়ক মধু সুধন দাস , ধনঞ্জয় ঘোষ সহ আরো বহু হত্যা মামলায় মূল অভিযুক্তরা আইনের মারপ্যাঁচে ডিঙিয়ে দিব্যি ঘুরছে। তার জন্য অবশ্যই দায়ী পুলিশ।ভিকি হত্যা মামলার ক্ষেত্রেও কি তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে? এই মুহুর্তে উকি দিচ্ছে এই সংক্রান্ত সন্দেহ জনক প্রশ্নের।