ডেস্ক রিপোর্টার,২৮ ফেব্রুয়ারি।।
সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের হেভিওয়েট কেন্দ্রগুলির একটি খয়েরপুর। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রতন চক্রবর্তী রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ।তিনি ছিলেন ৮৮ – র কংগ্রেস – টিইউজিএস জামানার মন্ত্রী। তার আছে দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। তবে তিনি বহুবার দল ত্যাগ করেছেন। পাড়ি দিয়েছেন এক শিবির থেকে অন্য শিবিরে।
পিছিয়ে নেই সিপিআইএম তথা জোটের প্রার্থী পবিত্র কর। তিনিও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী।রাজ্য বিধানসভার প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ।তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারও বহু লম্বা।রাজ্যের বাম রাজনীতির ব্র্যান্ড নেম পবিত্র কর।
স্বাভাবিক ভাবেই ২৩- র নির্বাচনে খয়েরপুর কেন্দ্রটি ছিলো অন্যতম নজরকারা। সাঙ্গ হয়েছে নির্বাচন।এখন চলছে গণনার প্রস্তুতি।অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে মানুষ। আগামী ২রা মার্চ কি হবে খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে? কে হাসবেন? রতন না পবিত্র? এই লক্ষ্ টাকার প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রের লোকজনের মুখে মুখে।
২৩- র নির্বাচনে কার পাল্লা ভারী? খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্র পরিক্রমা করে জানা যায়, এবার খয়েরপুরের রাজনীতির দাড়ি পাল্লা ঝুঁকে আছে সিপিআইএম তথা জোটের প্রার্থী পবিত্র করের দিকে। ১৮ – র নির্বাচনে তিনি মাত্র পাঁচশ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। এবার পবিত্রকে পেছনে তাকাতে হবে না বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের ভোটাররা। কারণ ১৮ র নির্বাচনে প্রবল বাম বিরোধী হাওয়ার মধ্যেও মাত্র পাঁচশ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন রতন চক্রবর্তী।কিন্তু এবার পরিবেশে অনেকটা অদল বদল ঘটেছে। খোদ খয়ের পুর বিধানসভা কেন্দ্রে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত ছিল বিজেপি। স্থানীয় বিধায়ক তথা প্রার্থী রতন চক্রবর্তীর উপর ভোটের আগে বিজেপির একটা বড় অংশ অনাস্থা প্রকাশ করেছিল। দাবী করেছিলো স্থানীয় প্রার্থীর। তার সঙ্গে অতিরিক্ত বোনাস হিসাবে রয়েছে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া।
অভিযোগ,খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জমি ব্যবসা থেকে শুরু করে নিগোসিয়েশন বাণিজ্যে জড়িয়ে গিয়েছিল বিজেপি প্রার্থী রতন চক্রবর্তীর নাম। স্বাভাবিক কারণেই রাজ্য রাজনীতির সুবক্তা রতন চক্রবর্তীর ইমেজে লাগে।ভোটের বাজারে রতন চক্রবর্তীর এই সমস্ত বিষয়ের হিসেব নিশ্চয় করেছেন ভোটাররা।
খবর অনুযায়ী, খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির অন্দরে চোরা স্রোতের কাজ করেছিলো।স্থানীয় প্রার্থীর দাবি তোলা বিজেপির লোকজন ভোট বাজারে ঘরের ইদুরের মতোই নাকি বেড়া কেটে দেয়। তা ভালো করে ঠাহর করতে পারেন নি রতন চক্রবর্তী। তাছাড়া এই অঞ্চলে ভর বিজেপির জামানায়ও কংগ্রেসী ভোটারের সংখ্যা কম নয়। তারা অবশ্যই এবার ঝুঁকে পড়েছে জোটের প্রার্থী পবিত্র করের দিকে।
বাম প্রার্থী পবিত্র কর স্থানীয় বাসিন্দা।গোটা খয়েরপূর বিধানসভার মানুষ সুখে দুঃখে পাশে পায় পবিত্র করকে। তিনি দিন রাত কাজ করেন এলাকার মানুষের জন্য।
স্থানীয় ভোটারদের বক্তব্য, রতন চক্রবর্তী খয়েরপুরে পরিযায়ী পাখির মতো। ১৮- র নির্বাচনে তিনি বিজেপি টিকিট দিয়েছিলো বলেই তার খয়েরপুরে আসা।এর আগেও তিনি কংগ্রেসের টিকিটে খয়েরপুর থেকে লড়াই করেছিলেন।কিন্তু ভোটে পরাজয়ের পর খয়েরপুরের মানুষ তার মুখ দেখে নি। মানুষ তা এখনো ভুলেন নি। এবার নির্বাচনের ভোট দানের সময় মানুষ এই সমস্ত বিষয়গুলি অক্ষরে অক্ষরে হিসেব নিকেষ করেছেন। খয়েরপুরের ভোটারদের কথায়, ২৩ – র নির্বাচনে খয়ের পুর কেন্দ্রে ফেভারিট জোটের প্রার্থী পবিত্র করই।আগামী ২রা মার্চ তার বাস্তব রূপ প্রতিফলিত হবে।তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো কয়েকটা দিন।
