ডেস্ক রিপোর্টার,৯এপ্রিল।।
          ফের রাজ্যে কি শুরু হয়ে গিয়েছে জঙ্গিপনা? অন্তত পুলিশের প্রাথমিক তথ্য কিন্তু এমনই ইঙ্গিত করছে। এডিসির সদর দপ্তর খুমুলুঙ – এ গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় ডাকাতির ঘটনার পেছনে  জঙ্গি যোগের সূত্র খোজ পাচ্ছে পুলিশ। যদিও গোটা ঘটনাকে ধাপা চাপা দিতে এখন ডাকাতির ঘটনাকে চুরি বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত পুলিশ কাগজে-কলমে চুরির মামলা রুজু করেছে। সাধারণ মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসন এই ঘটনার সঙ্গে  বৈরীদের যোগ সাজশের বিষয়টিকে চেপে রাখছে। আরক্ষা প্রশাসনের যুক্তি খুমুলুঙের  গ্রামীণ ব্যাংকের ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি যোগের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এলে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হবে। প্রশ্ন উঠবে রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও।তাই আসল ঘটনাকে চেপে রেখে পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করেছে।

       এডিসির সদর দপ্তর খুমুলুঙের গ্রামীণ ব্যাংকে বুধবার রাতে ডাকাতের দল হানা দেয়। অবাক করার মতো বিষয় স্থানীয় রাধাপুর থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই গ্রামীণ ব্যাংক। রাতের অন্ধকারে এডিসির সদর দপ্তরের গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় হানা দেয় ডাকাতরূপী বৈরী সদস্যরা। বৈরীরা ছোট  আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গ্রামীন ব্যাংকের গ্রিলের জানালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। এরা ৫ টি কম্পিউটার ফুল সেট, সঙ্গে সিসিটিভি ক্যামেরার স্টোরেজ মেশিন,হার্ড ডিস্ক নিয়ে যায়। ব্যাংকে থাকা সিন্দুক ভাঙার চেষ্টা করেছিল।কিন্তু তা ভাঙতে পারেনি। তাই  আমানতকারীদের টাকা সোনা – গয়না নিতে পারেনি।


বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাংকের কর্মীরা এসে গোটা ঘটনা দেখে খবর দেয় পুলিশকে। রাধাপুর থানার পুলিশ জরুরী তবলে ছুটে আসে। পুলিশ নিয়ম মাফিয়  কুকুর গোটা ব্যাংক চত্বরে চক্কর কাটে।কিন্তু কোনো কিছুই উদ্ধার করতে পারে নি। পুলিশের সাইবার সেল ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদেরও নিয়ে যাওয়া হয়। সিন অফ ক্রাইম দেখে তদন্তকারী পুলিশ বুঝতে পারে গোটা ঘটনার পেছনে বড় শক্তি রয়েছে। পুলিশ শুরু করে তদন্ত। কিন্তু তদন্তের শুরুতেই পুলিশের হাতে উঠে এসেছে হাড়হিম করা তথ্য।


পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে গোটা ঘটনার পেছনে রয়েছে রাজ্যের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন এনএলএফটির স্লিপার সেলের এজেন্টরা। এনএলএফটির বৈরীরা ছোট  অস্ত্র নিয়ে ব্যাংকে প্রবেশ করেছিলো। তারা টাকা নেওয়ার জন্য সিন্দুকের লকার ভাঙার চেষ্টা করেছিল।কিন্তু তা সম্ভব হয় নি। বৈরীরা ব্যাংকের কাজে ব্যবহৃত পাঁচ সেট কম্পিউটার নিয়ে যায়।এই সমস্ত কম্পিউটারে ব্যাংকের গ্রাহকদের  সম্পর্কে প্রচুর ডাটা রয়েছে। সঙ্গে একটি হার্ড ডিস্কও। এই হার্ড ডিস্কে প্রচুর তথ্য রয়েছে। অবাক করার মতো বিষয়  ব্যাংকে থাকা সি সি ক্যামেরার স্টোরেজ মেশিনও নিয়ে যায় এনএলএফটির বৈরীরা।   তাদের উদ্দেশ্য প্রমাণ লোপাট। তাই সিসি ক্যামেরা থেকে কোনো ফুটেজ উদ্ধার করা যাবে না। অন্যান্য ক্ষেত্রে চোর, ডাকাতরা কোনো প্রতিষ্ঠান বা বাড়িতে চুরি করতে এসে সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে দেয়।আবার কখনো সিসি ক্যামেরার তার ছিঁড়ে দেয়।কখনো আবার সিসি ক্যামেরার সামনের অংশ কিছু দিয়ে ঢেকে দেওয়া দেয়। তাদের উদ্দেশ্যও থাকে প্রমাণ লোপাট। 


খুমুলুঙের ঘটনার সিন অফ ক্রাইম সম্পূর্ণ আলাদা। ডাকাতরূপী বৈরী সদস্যরা প্রমাণ লোপাটের জন্য সিসি ক্যামেরার স্টোরেজ মেশিন নিয়ে চম্পট দেয়।তাদের কোনো ভাবেই সনাক্ত করা যাবে না। এই ঘটনা প্রমাণ করে গোটা দলটির মধ্যে আই টি সেক্টরের অভিজ্ঞ সম্পন্ন লোক রয়েছে।এই কারণেই কম্পিউটারের স্টারেজ মেশিন নিয়ে চম্পট দিয়েছে বৈরীরা।
             খুমুলুঙের গ্রামীণ ব্যাংকের ঘটনার পেছনে জঙ্গি যোগের  স্পস্ট প্রমাণ হাতে পেয়েছে পুলিশ। কিন্তু রাজ্যের মানুষের কাছে এই মুহূর্তে পুলিশ চেপে রাখার চেষ্টা করছে।কারণ বিষয়টি প্রকাশ্যে এলেই জনমনে আতঙ্ক বাড়বে। প্রশ্ন উঠবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। এই কারণেই চাপের মুখে থাকা পুলিশ প্রশাসন সাধারণ মানুষের চোখে গোলক ধাঁধা লাগিয়ে ঘটনার মূল স্ক্রিপ্ট পরিবর্তন করে জন সন্মুখে ফেক স্ক্রিপ্ট তুলে নিয়ে এসেছে। অন্তত জিরানিয় পুলিশ সাব ডিভিশনে কান পাতলেই এই গুঞ্জন শোনা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *