ডেস্ক রিপোর্টার,৪জুলাই।।
              রাজধানীর উত্তর গেটে ঠিকাদার অপহরন কাণ্ডের তদন্ত এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে। পুলিশের ভয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডা:মানিক সাহা পুলিশকে স্পষ্ট ভাবে  জানিয়ে দিয়েছেন, অভিযুক্তদের সঙ্গে কোনো রকম জামাই আদর চলবে না। আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

।।বিজ্ঞাপণ।।

রাজধানী পুলিশের খবর অনুযায়ী, অপহরণ কান্ডের অন্যতম আসামী পিন্টু রায় এখনো আছে জেল হেফাজতে।  সম্ভবত বুধবার পিন্টু  আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পাবে। তারপরও বিপদ পিছু ছাড়বে না খোয়াই মণ্ডলের সম্পাদককে। তাকে প্রতিদিন সকালে তাকে হাজিরা দিতে হবে পশ্চিম থানায়।
সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে বসে  থাকতে হবে থানার ভিতরে। আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত পিন্টুকে থানায় হাজিরা দিতে হবে।
         অপহরন কাণ্ডে জড়িত অর্জুন সূত্রধর, মরণ দাস, অঙ্কুর দেবনাথ ও মিঠন গোপ পলাতক। তারা কেউ খোয়াই এলাকার নেই। প্রত্যেকেই খোয়াইয়ের আশপাশ অঞ্চলে অবস্থান করছে।পুলিশ তাদের গোপন ডেরার হদিস পেয়েছে।


তথ্য বলেছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে পশ্চিম থানা ও খোয়াই থানার পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান চালাবে অভিযুক্তদের ডেরায়। ইতিমধ্যে পুলিশ অপহরন কাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়ি আটক করেছে।শহরের পুলিশের দাবী, বুধবার সকালের অপহরন কাণ্ডে জড়িতদের মধ্যে দুয়েকজনকে গ্রেফতার করে পশ্চিম থানায় নিয়ে আসবে।


ঠিকাদার অপহরন কাণ্ডে পুলিশী তৎপরতায় খোয়াই মণ্ডলের বহু নেতার এখন পেটে কামড় দিয়েছে। মণ্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদারও পুলিশের রাডারের মধ্যেই আছেন।কারণ মণ্ডল সম্পাদক পিন্টু রায় দিনের পর দিন নিগোসিয়েশন ব্যবসা করে যাচ্ছে। আর এটা মণ্ডল সভাপতি জানেন না, এটা কোনো ভাবেই হতে পারে না। এই বিষয়টি পুলিশের কাছেও স্পস্ট। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে মণ্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *