ডেস্ক রিপোর্টার,২৫ নভেম্বর।।
রাজ্য সিপিআইএম’র প্রয়াত সম্পাদক গৌতম দাস ও “জনতার মশাল” মামলার নিষ্পত্তি হলো। বিচারক অপরাজিতা সিনহা এই মামলার নিষ্পত্তি করেন।গত ১২নভেম্বর বিচারক মামলা নিষ্পত্তি’র রায় দেন।আদালতের এই রায়ের পর “জনতার মশাল”র সম্পাদক অভিজিৎ ঘোষ বলেন, আক্ষরিক অর্থে এই মামলায় জনতার মশাল’র নৈতিক জয় হয়েছে। বুধবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা বলেন তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে অভিজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, ২০১৭- সালে ২৪ অক্টোবর ভর বাম জামানায় “জনতার মশাল” পত্রিকায় রাজ্য সিপিআইএমের তৎকালীন প্রবক্তা গৌতম দাসের বিরুদ্ধে তথ্য সমৃদ্ধ খবর প্রকাশিত হয়েছিলো চিটফান্ড সংস্থা রোজভ্যালি সংক্রান্ত ইস্যুতে।পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছিল, সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা গৌতম দাসকে সিবিআই টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সিপিআইএম রাজ্য কমিটি থেকে বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়েছিলো, জনতার মশাল পত্রিকায় প্রকাশিত খবর ভিত্তিহীন।গৌতম দাসকে বিধানসভা ভোটের মুখে হেয় করার জন্য এই খবর করা হয়েছে।দলের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি দিয়েছিলেন সিপিআইএমের তৎকালীন রাজ্য সম্পাদক প্রয়াত বিজন ধর।
অভিজিৎ ঘোষ বলেন, পরবর্তী সময়ে গৌতম দাস “জনতার মশাল”র বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন।আদালত মামলা গ্রহণ করে।কিন্তু আদালতে বছরের পর বছর ধারাবাহিক ভাবে আদালতে এই মামলা উঠে।কিন্তু গৌতম দাস আদালতে হাজির হন নি।এমনকি গৌতম দাসের পক্ষে থাকা সাক্ষীরাও যাননি আদালতে।সাক্ষীর নামের তালিকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন সিপিআইএমের নারী নেত্রী কৃষ্ণা রক্ষিত ও জয়তি ভট্টাচার্য।এছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন নাম ছিলেন সাক্ষীর তালিকায়।
অভিজিৎ ঘোষের বক্তব্য, দুর্ভাগ্যের বিষয় গৌতম দাস ও তাঁর পক্ষের সাক্ষীরা কখনো আদালতে যান নি। “জনতার মশাল”র দুই কৌশলী সিরাজ আলী ও অভিজিৎ সেনগুপ্ত প্রস্তুত ছিলেন চ্যালেঞ্জের জন্য।কারণ সিবিআই যে গৌতম দাসকে নির্দিষ্ট তারিখে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলো এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ছিলো “জনতার মশাল”র আইনজীবীদের কাছে।
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্বে থাকাকালীন চলতি বছরে করোনা আক্রান্ত হয়ে গৌতম দাসের মৃত্যু হয়। তারপর প্রয়াত গৌতম দাসের আইনজীবী লুৎফুর রহমান আদালতকে জানিয়ে দেন তাঁর মক্কেলের মৃত্যুর কারণে এই মামলা আর “কনটেস্ট” করবেন না।
স্বাভাবিক ভাবেই আদালত নিয়ম অনুযায়ী এই মামলা নিষ্পত্তি করে দেয়।”জনতার মশাল”র সম্পাদকের দাবি,সিপিআইএমের প্রয়াত রাজ্য সম্পাদকের সঙ্গে এই মামলায় নৈতিক জয় হয়েছে পত্রিকার।কারণ প্রয়াত গৌতম দাস ইচ্ছা করে আদালতে আসেন নি।কারণ সিবিআই যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলো এটা ছিলো ধ্রুব সত্য।এই খবর প্রকাশিত হওয়ার কিছু দিন পর গৌতম দাস নিজেই স্বীকার করেছিলেন তাকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।তাও আবার বিবৃতি দিয়ে একথা জানিয়েছিলেন ।গৌতম দাসের এই বিবৃতিও প্রমান করে “জনতার মশাল”র খবর ছিলো সত্য নিষ্ঠ।এই কারণেই “জনতার মশাল”র নৈতিক জয় হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
