ডেস্ক রিপোর্টার , ২০মে।।
              লোকসভা নির্বাচনের আবহ  এখনো শেষ হয়নি। তার মধ্যেই রাজ্যের পঞ্চায়েত গুলিতে বেজে উঠছে নির্বাচনী ঘন্টা। আগামী ৪ঠা জুন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর রাজ্য জুড়ে শুরু হবে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের তোড়জোড়। এই বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার পর গ্রামীন রাজনীতিতে শাসক দল বিজেপির সংসারে জ্বলে উঠেছে আগুন।ধীরে ধীরে আগুন লাফিয়ে লাফিয়ে বিস্তার করছে এক পঞ্চায়েত থেকে অপর পঞ্চায়েতে।


আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্র করে বিভিন্ন পঞ্চায়েতে শাসক দল প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে। আর তাতেই বিষিয়ে উঠছে শাসকের সংসার। প্রার্থী বাছাই করতে গিয়ে আগুনের মুখে পড়ছেন  বিধায়ক সহ স্থানীয় মণ্ডল। স্থানীয় ভাবে প্রার্থী বাছাই করতে পারছেন না ভাজপা নেতৃত্ব।কারণ তাদের কথা মান্যতা দিচ্ছেন না সম্ভাব্য প্রার্থীরা। গ্রামীন নেতাদের মধ্যে কাউকে টিকিট দেবে না বললেই, গরম হয়ে যায় পরিস্থিতি। নেতারা দিতে থাকে হুঙ্কার। তারাও স্পস্ট জানিয়ে দিচ্ছেন, নির্দল হিসাবে করবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা।অর্থাৎ গুঁজ প্রার্থী। এই গুজ প্রার্থী নির্বাচনে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে শাসকের জন্য? রাজনীতিকদের কথায়, “মারাত্বক”। 


ভোট বিশ্লেষকদের কথায়, প্রতিটি পঞ্চায়েতে শাসকের সংসারে একই চিত্র।যদি তাই হয়,প্রতিটি পঞ্চায়েতে শাসক দলের  বিদ্রোহীরা নির্দল হিসাবে করবেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তাতে আখেরে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে শাসক দল। নিজেদের ভোটই কাটাকাটি হবে।মারামারি হবে নিজেদের মধ্যেই। তখন ফায়দা তুলবে বিরোধীরা। পঞ্চায়েত গুলিতে ভোটার সংখ্যা তুলনায় কম থাকে।
          


তার মধ্যে শাসকের ভোট তিন – চার ভাগ হলে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো সম্ভাবনা থাকবে না। ভোটের বাজারে পঞ্চায়েত গুলি ঝুঁকে যাবে বিরোধীদের দিকেই। ৪ঠা জুন যদি দেশীয় রাজনীতিতে পরিবর্তন ঘটে তাহলে বিজেপির দিকে ধাক্কা আরোও ব্যাপক হতে পারে। এটা হলফ করেই বলা যায়।অভিযোগ, ইতিমধ্যে পঞ্চায়েতের টিকিট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ভাজপার নেতারা তোলা আদায়ও শুরু করেছে কিছু কিছু জায়গাতে। এই পরিস্থিতিতে গ্রামীন ভোট বিজেপির জন্য অশনি সঙ্কেত ডেকে আনছে বলেই মনে করছেন রাজনীতিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *