তেলিয়ামুড়া ডেস্ক,১৮মার্চ।।
চৈত্রের শুরুতে কৃষিজমি থেকে পুকুরে জলের টান।সর্বত্রই মাটি ফেটে চৌচির। বৃষ্টি না থাকাতে এবং প্রয়োজনীয় জলের অভাবে এমন দুর্বিষহ অবস্থা। অর্থাৎ মিনি খরার ইঙ্গিত।এই কারণে কৃষকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। অভিযোগ, মহকুমা কৃষি তত্ত্বাবধায়কের অসহযোগিতার কারণে কৃষকরা একপ্রকার দিশেহারা। ঘটনা তেলিয়ামুড়া কৃষি মহকুমার অধীনে বালু ছড়া, কৃষ্ণপুর, মধ্য কৃষ্ণপুর, জুম বাড়ী, ব্রহ্মছড়া সহ একাধিক এলাকাগুলিতে প্রয়োজনীয় জলের অভাবে কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারছেন না জমিতে। তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। চৈত্রের শুরুতে প্রয়োজনীয় জলের অভাবে। নেই জল সেচের উত্তম ব্যবস্থা। জলের অভাবে কৃষিজ জমি ফেটে চৌচির।জলের জন্য করছে খাঁ খাঁ করছে। কৃষকদের স্বার্থে এলাকায় সাবমার্জিবল মেশিন থাকলেও সেটি বর্তমানে অকেজো। কৃষকদের বক্তব্য, তারা জলের জন্য স্থানীয় তেলিয়ামুড়া কৃষি মহকুমা তত্ত্বাবধায়কের সাথে যোগাযোগ করেছিলো।কিন্তু তেমন সুফল পায়নি তারা।স্থানীয় ব্রহ্মছড়া এলাকার এক শিক্ষিত যুবক তথা কৃষক অজিত সরকার বলেন,”জলের অভাবে কৃষি জমি ফেটে চৌচির। কৃষি জমির তস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।ফলে কৃষি জমিতে কৃষিজ ফসলের গাছগাছালি দীর্ঘদিন ধরে একপ্রকার শুকিয়ে কাট হয়ে যাওয়ার উপক্রম।এরকম অবস্থা যদি চলতে থাকে তবে খরার পদধ্বনি বয়ে আনতে পারে।” সংশ্লিষ্ট এলাকায় কৃষি কাজের জন্য পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা করার দাবিতে সরব হয়েছেন কৃষকরা। কারণ তাদের কৃষিকাজই হল অর্থ উপার্জনের একমাত্র পথ। অন্যথায় তারা মাঠে মার খাবে বলে জানিয়েছেন এলাকার কৃষিজীবী মানুষ।
