
ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
মহিলা পুলিশ কর্মীরা তাদের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের লালসার শিকার হয়ে থাকে প্রায়শই। রাজ্য আরক্ষা দপ্তরে এটা নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন সময়ে এরকম ঘটনা ঘটেছে। ডিজিপি, এডিজি শুরু করে থানার ওসিদের এধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বহু অভিযোগ রয়েছে আরক্ষা দপ্তরে। কোনো কোনো সময় কিছু ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।আবার কোনো কোনো সময়ে সংঘটিত ঘটনা চেপে গিয়েছিলো পুলিশ প্রশাসন। এবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো সোনামুড়া মহকুমার কলমচৌড়া থানায়।
কলমচৌড়া থানার “মহামান্য” ওসি সাহেব বিষ্ণুপদ ভৌমিক তার অধস্তন মহিলা পুলিশ কনস্টবলকে কু-প্রস্তাব দেন। দীর্ঘ দিন ধরেই ওসি বিষ্ণুপদ ভৌমিক তার থানায় কর্মরত মহিলা কনস্টেবলকে প্রতিদিন মানসিক অত্যাচার করতো। এই অভিযোগ খোদ নির্যাতিত মহিলা পুলিশ কর্মীর।
অসহায় মহিলা পুলিশ কর্মীর বক্তব্য, তার সঙ্গে ওসি শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। তিনি নানান ভাবে মহিলাকে উত্যক্ত করতেন। কিন্তু মহিলা কনস্টেবল তাতে সায় দেন নি। মহিলা কর্মীকে বাগে আনতে না পেরে ওসি বিষ্ণুপদ ভৌমিক নতুন ফাঁদ পাতে। ওসির রান্নার কাজে নিযুক্ত প্রদীপ সরকারকে ব্যাবহার করেন ওসি। নারীদেহ লোভী ওসি বিষ্ণুপদ ভৌমিকের হয়ে মহিলা কনস্টেবলকে ফের কুপ্রস্তাব পাঠান।তাতেও অনড় ছিলেন মহিলা।

মহিলা কনস্টেবলকে কাবু করতে না পারায় ওসি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন। এরপর হাতিয়ার হিসাবে মহিলাকে বদলির জুজু দেখাতে শুরু করেন। বদলির ভয়ে নির্যাতিতা মহিলা পুলিশ কর্মীও মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছিলেন। কিন্তু দুশ্চরিত্রের ওসি কোনো ভাবেই মহিলাকে কাবু করতে না পারায় তার হাতে বদলির অর্ডার ধরিয়ে দেন। তখনই মহিলা কনস্টেবলের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায়। তিনি বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমের কাছে খোলসা করেন। এবং দুষ্ট ওসির উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন।

নির্যাতিতা মহিলা পুলিশ কর্মী জানিয়েছেন,তিনি বিষয়টি জানাবেন পুলিশ সদর দফতরে। এখন দেখার বিষয় আরক্ষা প্রসাশন দুশ্চরিত্রের ওসি বিষ্ণুপদ ভৌমিকের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়? নাকি আরক্ষা দফতরের সংঘটিত অন্যান্য ঘটনার মতোই ক্লোজ চাপটারে পরিণত হয়ে যায় কলমচৌড়া থানার ওসি বিষ্ণুপদ ভৌমিকের এই উপাখ্যানও।