
ডেস্ক রিপোর্টার, ২০ডিসেম্বর।।
সিধাই থানার সীমান্তবর্তী গ্রাম দাইগ্যা বাড়িতে রহস্য জনক ভাবে গ্রেফতার হয়েছেন এনএলএফটির জঙ্গি নেতা শচীন দেববর্মা। সঙ্গে আরও এক বৈরী নেতা উৎপল দেববর্মা। ঘটনা গত ১৪ ডিসেম্বর। এই মুহূর্তে তারা দুই জনেই আছেন জেল হাজতে। বাস্তব অর্থে শচীন ও উৎপলকে পুলিশ গ্রেফতার করে নি। তারা পূর্ব আলোচনা মোতাবেক আত্মসমর্পন করেছেন।তাতে আরোও দুর্বল হয়ে পড়েছে বিশ্বমোহন গোষ্ঠী। গত নভেম্বর মাসে জঙ্গি নেতাদের আত্মসমর্পনের আগাম খবর প্রকাশিত হয়েছিল “জনতার মশাল”।
এনএলএফটির কোর কমিটির দুই জাদরেল বৈরী নেতা শচীন ও উৎপল সীমান্ত ডিঙিয়ে এপারের দাইগ্যা বাড়িতে চলে এসেছে। এরপর প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করেছে, এটা কোনো ভাবেই বোধগম্য নয়।যদি তাই হয়,তাহলে বলতে হবে সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফ চূড়ান্ত ব্যর্থ। তাহলে বলতেই হয়,সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফকে ফাঁকি দিয়ে তারা চলে এসেছে এপারে।

গোয়েন্দার তথ্য বলেছে এই সব কিছুই নয়। আগাম বোঝাপড়ার মাধ্যমে শচীন ও উৎপলকে ওপার থেকে পুশ ব্যাক করা হয়েছে। তাও আবার দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে কথোপকথনের পর। গোটা বিষয়টিকে পর্দার আড়ালে রাখার জন্য পুলিশ শচীন ও উৎপলকে গ্রেফতার দেখিয়েছে। একই ঘটনার পুনরবৃত্তি হয়েছিল এটিটিএফ সুপ্রিমো রঞ্জিত দেববর্মার ক্ষেত্রেও। ২০১২ সালে রঞ্জিতকে মেঘালয়ের ডাউকি সীমান্ত দিয়ে পুশ করেছিলো বিজিবি। পরে তাকে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার দেখিয়ে ছিলো।

রঞ্জিত দেববর্মার মতো এনএলএফটির দুই জাদরেল নেতা শচীন ও উৎপলের নামে ইন্টারপোল রেড কর্নার নোটিশ জারি করেছিলো। শচীন রাজ্য পুলিশের “মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী”। পুলিশের ওয়েব সাইটে এখনো জ্বল জ্বল করছে শচীন দেববর্মার ছবি সহ তার বায়ো ডাটা। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তর জঙ্গি নেতা শচীন দেববর্মার মাথার দামও ঘোষণা করেছিলো। তার মাথার দাম ধার্য্য করা হয়েছিল পাঁচ লক্ষ টাকা। সরকারি বিজ্ঞপ্তির নম্বর
F.21(19)/PD/98 । ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর এই
বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিলো।
ইন্টারপোল শচীনের বিরুদ্ধে রড কর্নার নোটিশ জারি করে তাকে এতদিন গ্রেফতার করতে পারে নি। তাই ঘোষনা করা হয়েছিল মাথার দাম। এটা বিলক্ষণ জানেন শচীনের মতো রক্ত পিপাসু বৈরী নেতা।তারপরও কেন শচীন হেসে খেলে ধরা দেবে পুলিশের কাছে? পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে কিন্তু তাকে রিমান্ডে নিতে পারে নি।প্রশ্ন জনমনে।

গোয়েন্দার তথ্য বলছে, গোটা ঘটনা গট-আপ। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের মুখে দিল্লির সঙ্গে আলোচনা করেই শচীন ও উৎপল ফিরে এসেছে রাজ্যে। এবং করেছে আত্মসমর্পন! বিশ্বমোহন গোষ্ঠীর দুই বৈরীর গ্রেফতার বা আত্মসমর্পনের ঘটনার পেছনে এক বড় রহস্য হয়েছে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।