ডেস্ক রিপোর্টার,২৮ফেব্রুয়ারি।।
                 রাজ্য রাজনীতিতে প্রদ্যুৎ কিশোরের অবস্থা এখন উল্কার মতো। রাজনীতির মঞ্চে প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপ্রামথা উত্থান চমকে দিয়েছিলো সাধারণ মানুষকে। মূলত জাতিগত ট্রাম কার্ডকে হাতিয়ার করেই প্রদ্যুৎ পাহাড়ে জমি তৈরি করেছিলেন। তার ভোকাল টনিক ছিলো গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড। এই  টনিক দিয়েই২৩- র রাজনীতির বাজার গরম করেছিলেন বুবাগ্রা। অনেক আগেই গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড ফিকে হয়ে গিয়েছে। মাঠে মার খেয়েছে ইন্টারলোকেটর। সাংবিধানিক সমাধানেরও হয়েছে কবর।
                   এই তিনটি অত্যাবশকীয় বিষয় মাটি চাপা পড়তেই প্রদ্যুৎ সামনে নিয়ে আসেন রোমান হরফ। তাতে কিছুটা মান রক্ষা হয়েছে। কিন্তু জনজাতিদের অধিকার পাইয়ে দেওয়ার স্বপ্নের ফেরিওয়ালা প্রদ্যুৎ আক্ষরিক গোলে পৌঁছতে পারেন নি। সব মিলিয়ে প্রদ্যুৎ নিরাশ। তিনি এখন পর্যন্ত জনজাতিদের কিছুই দিতে পারেন নি।বিজেপিও প্রদ্যুৎ কিশোরকে ললিপপ দেখিয়ে দেখিয়ে সময় কাটিয়ে দিয়েছে। এই মুহূর্তে মহা সঙ্কটে প্রদ্যুৎ। তাই জনজাতিদের কাছে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে “আমরন অনশন”কে হাতিয়ার করেছেন।


রাজনীতিকরা বলছেন, প্রদ্যুৎ কিশোরের কাছে এই মুহূর্তে কোনো বিকল্প রাস্তা নেই।কারণ তার সমস্ত অস্ত্র কৌশলে  ভোতা করে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। এখন তিনি পুরোপুরি ভাবে হতাশ। এই হতাশা কাটানোর জন্য এবং বিজেপিকে চাপে রাখতে “ভঙ্গুর” প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এবং শেষ পর্যন্ত তিনি আমরন অনশনের পথ বেছে নিয়েছেন। রাজনীতিকদের কথায়,প্রদ্যুৎ নিজেও বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন বিজেপিও দড়ি টেনে রেখেছে।


বিজেপিও চাইছে, জনজাতিদের কাছ প্রদ্যুৎ কিশোরকে গুরুত্বহীন করে পাহাড়ে নিজেদের জমি শক্ত করতে। এই কারণেই প্রদ্যুৎ কিশোর বারবার দিল্লির দরজায় গেলেও তাকে খুব একটা পাত্তা দেয় নি বিজেপির সর্ব ভারতীয় নেতৃত্ব।স্বাভাবিক ভাবেই প্রদ্যুৎ মন ক্ষুন্ন হয়ে বিজেপিকে পাল্টা চাপ দিতে অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাও আবার তিপ্রামথার ব্যানার থেকে নয়। গোটা জনজাতি সমাজের প্রতিনিধি হিসাবেই আমরণ অনশন করবেন তিনি।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রদ্যুৎ এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *