ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
” প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার গরীব। তিনি নিজের গরিবীয়ানাকে সারা দেশে মার্কেটিং করেছিলেন। এখনো করেন।”- বক্তা তিপ্রামথার ফাউন্ডার প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণ।সোমবার এডিসির সদর দপ্তর খুমুলুঙ্গে অনুষ্ঠিত জনসভায় একথা বলেন।এদিন খুমুলুঙের তিন শাসক জোট বিজেপি – আইপিফটি – তিপ্রামথা যৌথ ভাবে করেছে জনসভা। এই সভাতেই প্রদ্যুৎ বাম – কংগ্রেসকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে বিজেপিকে আবারও শক্ত ভাবেই আলিঙ্গন করেছেন।
প্রদ্যুৎ কিশোর সরাসরি মানিক সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, জনজাতিদের ঠকিয়ে বামেরা টানা ২৫ বছর রাজত্ব করেছে। এই সময়ে জনজাতিদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছে কমিউনিস্টরা। মানিক সরকারের জামানায় জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ সামাজিক ও আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়েছে। কমিউনিষ্টদের কাছে জনজাতি মানে ছিলো “জঙ্গি”। কমিউনিষ্টরা কখনো জনজাতিদের ভালো চোখে দেখে নি। প্রদ্যুৎ কিশোরের কথায়, উওর – পূর্বাঞ্চলের মধ্যে একমাত্র ত্রিপুরার জনজাতিরা আর্থ – সামাজিক ভাবে পিছিয়ে পড়েছে। তার জন্য দায়ী সিপিআইএম।সর্বোপরি মানিক সরকার। ঠারে ঠুরে এমনটাই বুঝিয়েছেন প্রদ্যুৎ কিশোর। প্রদ্যুৎ ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শক্তি কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেন। কটাক্ষ করেন রাহুল গান্ধীকেও।

এদিনের প্রদ্যুতের বক্তব্যের শুরুতে আক্রমণ শানান বামেদের।এরপর কংগ্রেসকে। উভয় রাজনৈতিক দলকেই জনজাতিদের পিছিয়ে পড়ার জন্য দায়ী করেন। মানিক সরকার প্রসঙ্গে প্রদ্যুৎ বলেন, গোটা দেশে মানিক সরকার নিজের গরিবীয়ানার মার্কেটিং ভাল ভাবেই করেছেন। সঙ্গে জনজাতিদের কফিনে পুড়ে দিয়েছিলেন পেরেক।
প্রদ্যুৎ অকৃপণ ভাবে প্রশংসা করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।বিজেপি সরকারের জন্যই জনজাতিদের ভালো দিন আসতে শুরু করেছে।এদিন প্রদ্যুৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্য উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন,” দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিডিয়ার সামনে স্বীকার করেছে, এই রাজ্যে জনজাতিদের ভুল কাজ করা হয়েছে। এটাকে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। প্রদ্যুৎ কিশোর জনসভায় উপস্থিত জনজাতিদের আশ্বস্থ করে ভারত সরকারের সঙ্গে চুক্তির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, পিকচার এখনো বাকি, এটা শুধু টেলর।”

লোকসভার পশ্চিম আসনের বিজেপির প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব নরেন্দ্র মোদীর নতুন কেবিনেটের মন্ত্রী হচ্ছেন বলেও দাবী করেছেন প্রদ্যুৎ কিশোর। দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের প্রশংসা করতে কোনো রকমের কার্পণ্য করেন না।