ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
          জনতার মশাল ও JM 24 – র অফিসে হামলার ছক!পরিকল্পনার মাষ্টার মাইন্ড হাঁপানিয়ার তুলসী পাল।সে একজন দাগি সমাজদ্রোহী।তার বিরুদ্ধে স্থানীয় থানা  পুলিশে রয়েছে মামলা।নিজেকে ভারতীয় জনতা পার্টির স্ব-ঘোষিত নেতা বলে দাবি করে থাকে।গত লোকসভা নির্বাচনের গণনার দিন সিদ্ধিআশ্রমে তুলসী গিয়েছিলো আক্রমণের জন্য।শেষে তাকে হজম করতে হয়েছিলো উপস্থিত প্রমীলাদের গণধোলাই।
  সম্প্রতি “জনতার মশাল ও JM 24 News – এ ওএনজিসির নিগোসিয়েশন বাণিজ্য সংক্রান্ত তথ্য  সমৃদ্ধ খবর  সম্প্রচারিত হয়েছিলো। এই খবর সম্প্রচারের পর ঢিল পড়ে নিগোসিয়েশনের মধুর চাকে। তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে নোগো কারবারীরা। শুরু হয় তাদের গাত্র দহন। বাস্তব ঘটনা JM -24 প্রকাশ্যে নিয়ে আসাতে নাভি শ্বাস উঠেছে নিগোসিয়েশন ব্যাপারীদের। কারণ JM 24 ফুটো করে দিয়েছিলো নিগো মাফিয়াদের অপরাধের ক্যানভাস।


হাপানিয়ার নিগোসিয়েশন কারবারী তুলসী পাল তার ফেসবুকের ওয়ালে লিখেছেন, ” আগরতলায় JM – 24- র অফিসটি কোন জায়গাতে অবস্থিত?” ব্যস, তাতে কোনো সমস্যা নেই। আফিসের ঠিকানা যে কোনো কেউ জানতেই পারেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এটা জনতার মশাল বা JM 24- র জন্য  কোনো হুমকির বার্তা নয় তো?


সমাজদ্রোহী তুলসী পাল তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে JM 24 – র পুরো নাম অর্থাৎ জনতার মশাল সম্পর্কেও অবগত। তুলসী তার এক সাগরেদকে বলছেন, JM 24 হলো জনতার মশাল। সাগরেদ দ্বীপতনু দে তুলসীকে উদ্দেশ্য করে বলেছে,”দাদা অভিযান ” হবে কি?  কিসের অভিযানের কথা বলেছেন তুলসীর সাগরেদ দ্বীপতনু? পরিষ্কার করে বললে অভিযান মানে JM 24- র অফিসে হামলা । এতো বড় আস্পর্ধা? কিন্তু তারা জানে না, JM 24 News – র হাতে তাদের ঠিকুজি রয়েছে। এই সমস্ত তথ্য ফাঁস হলে তুলসী ও তার সাগরেদরা বালিতে মুখ লুকিয়ে রেখেও বাঁচতে পারবে না।


গত কয়েক বছর আগে বিপ্লব কুমার দেব মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যের প্রভাতী দৈনিক প্রতিবাদী কলম ও টিভি চ্যানেল PB 24 – র অফিসে হামলা চালিয়ে ছিলো দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পর থেকে স্ব-ঘোষিত বিজেপি নামধারী দুষ্কৃতীদের যেন সংবাদ মাধ্যমের অফিসে হামলা করতে নিশপিশ করে হাত। কিন্তু তারা জানেন না,রাজ্যের মানুষ এই ঘটনাগুলো মেনে নেয় নি। তার প্রমাণ ২০২৩- র বিধানসভা নির্বাচনের রেজাল্ট। এই কারণেই সরকার এখন ঝুলছে সুতোর উপর। তাতে অবশ্যই  তুলসী ও তার সাগরেদদের মতো মরশুমী সমাজদ্রোহীদের কিছু আসে যায় না।কারণ বাম জামানায় তারা ছিলো গর্তের মধ্যে।বিজেপি ক্ষমতায় আসার কারণে মরশুমী ফলের মতো তারাও হয়ে উঠেছে মরশুমী “মাস্তান”। দর্শক বন্ধু আপনারা এবার  বুঝুন, তাদের ঠেলা এবং দৌঁড় কতটা।


রাজ্যের বর্তমান নিষ্কলুষ মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা দুর্নীতি মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। তিনি অপরাধ দমনে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পুলিশকে দিয়েছেন জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বনের নির্দেশ। সংবিধানের ১৯ (১) – এ ধারা অনুযায়ী সংবাদ মাধ্যমকে দিয়েছেন স্বাধীনতা। এবং ২১- এ অনুযায়ী দিয়েছেন সন্মান। স্বাভাবিক ভাবেই জনতার মশাল ও JM 24 News – র মত দায়িত্ত্বশীল সংবাদ মাধ্যম তথ্য সহ দুর্নীতিবাজদের মুখ ও মুখোশ উন্মোচন করছে। আর তাতেই আতে ঘা লাগছে বিজেপির নাম বিক্রি করে চেটে পুটে খাওয়া ধান্দাবাজদের।


সমাজদ্রোহী তুলসী পালের লোকজন ওএনজিসি এলকার কোন দোকানে বসে সিন্ডিকেট পরিচালনা করছে? কোন ঠেকে অধিক রাত পর্যন্ত  চলে তাদের সমস্ত অপরাধ মূলক কার্যকলাপের ব্লু প্রিন্ট? সেখানে কি, কি বিষয়ে হয় ডিল? এলাকার কোনো কোন জমি কারা  জবর দখল করে রেখেছে? পার্শ্ববর্তী কোন হোটেলে বসে চলে নিগোসিয়েশনের হাইটেক ম্যারাথন বৈঠক? কোথায় থেকে আসে তোলার টাকা? কোথায়,কিভাবে চলে চোরাই কাঠ ও রগরগে নেশা বাণিজ্য ? সমস্ত তথ্য রয়েছে JM 24 News – র কাছে। JM 24কে স্পর্শ করলে তুলসী ও তার সাঙ্গ – পাঙ্গোরা বুঝবে কত ধানে কত চাল।


বিগত কিছু দিন ধরে  তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন বিজেপির বিলোনিয়া মহকুমার তোলাবাজ নেতারা। JM 24 – র ঝাঁঝ বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছিল খোয়াই জেলা ও খোয়াই মণ্ডলের তাবড় নেতারা। বাম জামানায় জনতার মশাল – র এই ঝাঁঝ বুঝেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শহিদ চৌধুরী, সিপিআইএমের প্রয়াত নেতা গৌতম দাস, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। আর তুলসী পালের মতো মরশুমী সমাজদ্রোহীরা তো জনতার মশাল ও JM 24 – র কাছে শিশু সুলভ।


তাই সাধু সাবধান। অতি স্পর্ধা ডেকে আনতে পারে ঘোর বিপদ।  সমাজদ্রোহী তুলসী পাল ও তার হোমরা চোমরাদের জনতার মশাল ও JM 24- র অফিসে হামলার পরিকল্পনার আগাম ছকের কথা আমরা সমস্ত তথ্য সহ খুব শীঘ্রই পৌঁছে দেব দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দরবারে। নালিশ পৌঁছে যাবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচাপতি ও রাজ্যের উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির কাছে। অভিযোগ জমা পড়বে রাজ্যপালের দরবারে।এই বার্তা পৌঁছে যাবে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার অন্দরে।


দেশ- বিদেশ ও রাজ্যের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের কাছে। সর্বোপরি রাজ্যের অভিভাবক তথা নিষ্কলুষ  মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা,স্বরাষ্ট্র সচিব ও রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের কাছে। কেননা রাজ্যের অতীত ইতিহাস ভালো নয়। দুই,দুই জন সাংবাদিক খুন  হয়েছে এই রাজ্যে। আগুনে জ্বলছে সংবাদ মাধ্যমের অফিস। তারপরও সমাজদ্রোহীরা সংবাদিকদের অধিকার হরণ করতে চাইলে তা কোনো ভাবেই বরদাস্ত করবে না জনতার মশাল ও JM 24 News। সরব হবে প্রতিবাদে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *