ডেস্ক রিপোর্টার, ৭ফেব্রুয়ারি।।
কংগ্রেস-বিজেপি ও সিপিএমের মতো জাতীয় দলগুলিকে আর বিশ্বাস করবেন না। তাদের নেতৃত্ব ভোটের সময় রাজ্যে এসে নানান ললিপপ দিয়ে থাকে। কিন্তু ভোট শেষ হলেই তারা চলে যান ।ভোটের পর কর্মীরা আক্রান্ত হলেও জাতীয় দলগুলির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে খুঁজে পাওয়া যায় না।তারা শুধুমাত্র ভোটের বাজার করতেই রাজ্যে আসেন। বক্তা তিপ্রামথা সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন। বিশ্রামগঞ্জের একটি জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রদ্যুৎ কিশোর জাতি জনজাতি উভয় সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্য বলেন, নিজেরা সুসংঘটিত হলে জাতীয় দলগুলির উপর নির্ভর করতে হয় না। তারা দিল্লিতে বসে আমাদের মাথার উপর ছড়িয়ে ঘুরাচ্ছে। আর তাদের কথা মতোই রাজ্যের মানুষ নাচানাচি করছে। কোন প্রয়োজন নেই এই সমস্ত জাতীয় দলের নেতৃত্বের। কারণ কর্মীরা যখন আক্রান্ত হন, তারা যখন দুঃখের কষ্টে থাকে তখন জাতীয় দলের নেতৃত্বদের দেখা পাওয়া যায় না ।স্বাভাবিকভাবেই নিজেরা শক্তিশালী হলে তাদের কোন প্রয়োজনিয়তা থাকবে না।
প্রদ্যুৎ কিশোর বলেন, তিপ্রামথার নেতা বুবাগ্রা দিল্লিতে গিয়ে জাতীয় দলগুলির নেতাদের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলেন। তিনি কাউকে ভয় করেন না। সাংবিধানিক ভাবে অধিকার আদায় করতে চান।আর এই অধিকারের জন্যই আজকের লড়াই। এই লড়াই রাজ্যের মানুষদের পাশে নিয়ে নিশ্চিত ভাবে জয়ী হবেন বলেও মন্তব্য করেন ।
প্রদ্যুৎ কিশোর কংগ্রেস, বিজেপি,সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, যখন রাজ্যের মসজিদগুলিতে আক্রমণ হয়েছিল, তখন কোথায় ছিলেন সংশ্লিষ্ট দলগুলির নেতারা? তারা কেউ কোন কথা বলেনি। প্রতিবাদ করেননি। শুধুমাত্র তিনি এই সমস্ত ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন। পাশে দাঁড়িয়েছেন আক্রান্ত লোকজনের। প্রদ্যুতের কথায়, জাতীয় দলগুলিও তো তাদের ভোট পেয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রের মসনদে বসেন। তাহলে রাজ্যের আক্রান্ত মানুষদের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা থাকবে না কেন?
এদিন বিশ্রামগঞ্জে দলীয় নির্বাচনে প্রচারে ঝড় তোলেন মথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন। সমাবেশ স্থলে ছিল লোকে লোকারণ্য। জনজাতিদের পাশাপাশি বাঙালিরাও ছিল। মাথার এই সভায় এদিন প্রদ্যুৎ বাঙ্গালীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মথা বাঙালিদের কোন ক্ষতি করেনি ।কোন ক্ষতি চায় নি। শুধুমাত্র জনজাতিদের অধিকারের কথা বলেছে তিপ্রামথা। সুতরাং বাঙ্গালীদের মধ্যে ভুল বোঝার কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। তবে প্রদ্যুৎ বাঙালি লোকজনকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন,বিশেষ একটা চক্র জাতি – জনজাতির মধ্যে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে। উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে । তাহলেই কুচক্রীরা পিছু হটতে বাধ্য হবে।
