ডেস্ক রিপোর্টার, ১৯অক্টোবর।।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের একাই লড়বে শাসক দল বিজেপি। এমন ইঙ্গিত ভেসে আসছে গেরুয়া শিবিরের অন্দর মহল থেকে। অস্তিত্ব বিপন্ন আইপিএফটি মিশে যাবে পদ্ম বনে।এই সমীকরণকে সামনে রেখেই ২৩- র ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছে গেরুয়া নেতৃত্ব।
কৃষ্ণনগর গৈরিক বাড়ির খবর, এখন পর্যন্ত তিপ্রামথার সঙ্গে জোটের বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো আলোচনা হয় নি।প্রদ্যুৎ কিশোরের গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের অনৈতিক দাবি মানবে না বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই বার্তা স্পষ্ট ভাবে জনিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রদ্যুৎকে। অন্য দিকে প্রদ্যুৎ নাছোড় বান্দা। গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের লিখিত চুক্তি না হলে সে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট করবে না। এই কারণেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রদ্যুৎ কিশোরকে আর গুরুত্ব দিতে নারাজ।
বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তিপ্রামথার বিরুদ্ধেও কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।এই জন্য দফায় দফায় বৈঠক করছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও খুমুলুং জনসভায় গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড নিয়ে কোনো বলেন নি। জেপি নাড্ডা বুঝিয়ে দিলেন তিনি এবং তার দল গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের বিপক্ষে। আগামী ২৭অক্টোবর রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধান মন্ত্রীর সফরে চমক দেবে বিজেপি। তবে প্রদ্যুৎ কিশোরের দাবি নিয়ে প্রধান মন্ত্রীও আগ্রহী নন। অর্থাৎ পরিষ্কার প্রদ্যুৎ কিশোরের গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবিকে কোনো ভাবেই সমর্থন করছে না বিজেপি। স্বাভাবিক ভাবে মথার সঙ্গে আপাতত জোটের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে রাজ্য রাজনীতির রং পাল্টাচ্ছে মুহূর্তে মুহূর্তে। শেষ মুহূর্তে প্রদ্যুৎ যদি বিজেপির সঙ্গে জোট করেন,তাহলে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবিকে কুলুঙ্গিতে আসতে হবে।অন্যথায় ২৩- র মহা সংগ্রামে একাই সর্ব শক্তি নিয়ে ঝাপাবে বিজেপি।
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, রাজ্যের পাহাড়ের ৯টি বিধানসভা আসনে অনুপজাতি ভোটাররা ফ্যাক্টর। এই সমস্ত কেন্দ্রে মথার জয় পেতে হলে অনুপজাতিদের ভোটের প্রয়োজন।অন্যথায় মথার জয় আটকে যাবে। তাছাড়া অনুপজাতি অংশের মানুষ তিপ্রামথাকে ভোট দেবে না।কারণ মথা নেতৃত্ব বারবার অনুপজাতি(বাঙালি)অংশের মানুষকে বিদেশী বলে কটাক্ষ করে আসছে। তা কোনো ভাবেই মেনে নিচ্ছে না বাঙালিরা। বিজেপি নেতৃত্ব বাঙালিদের এই ভাবাবেগ বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছে। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের সংখ্যা গরিষ্ঠ বাঙালিদের ভাবাবেগে আঘাত লাগবে এমন কোনো রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেবে না রাজ্য ও কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্ব। গেরুয়া শিবিরের এই সিদ্ধান্ত থেকে স্পষ্ট পাহাড়ের শাসক শক্তি তিপ্রামথাকে দূরে রেখেই একলা চলো নীতি অবলম্বন করবেন মোদী – শাহ ও মানিক – রাজীব জুটি।
