ডেস্ক রিপোর্টার, ১৮মে।।
  প্রদ্যুতের তিপ্রামথায় আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণি ঝড় মোকা।ঘূর্ণি ঝড়ের প্রভাবে আলগা হচ্ছে তিপ্রামথা।
আঁচ লাগছে এডিসির সদর দপ্তর খুমুলুঙে।পদত্যাগ করলেন বীরচন্দ্র মনু জোনাল চেয়ারম্যান দেবজিৎ ত্রিপুরা।তিনি এডিসির পুর্ব ভুড়াতলী- মুহুরীপুর কেন্দ্রের এমডিসি।
      বীরচন্দ্র মনু জোনাল চেয়ারম্যান দেবজিৎ ত্রিপুরা । তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে জোনাল চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এডিসির কাউন্সিল নির্বাচনে  দেবজিত ত্রিপুরা এডিসির পুর্ব ভুড়াতলী- মুহুরীপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। হন এডিসির এমডিসি। যুব নেতা দেবজিতকে দলের সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর বীরচন্দ্র মনু জোনাল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এতো দিন দেবজিৎ নিষ্ঠার সঙ্গেই তার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ছন্দ পতন কেন?


তিপ্রামথার খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই বিজেপি “মিশন এডিসি” হাতে নিয়েছে। ২৪- র লোকসভা নির্বাচনের আগেই এডিসিতে প্রদ্যুতের তিপ্রামথাকে খান খান করার পরিকল্পনা নিয়েছে। মথার এমডিসিদের দল ভাঙিয়ে নিয়ে আসবে বিজেপিতে। তার প্রথম ধাপ দেবজিত ত্রিপুরা। এডিসির প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, আগামী কিছু দিনের মধ্যে দেবজিত ত্রিপুরা তিপ্রামথা ছেড়ে যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে।একই ভাবে আরো কয়েকজন এমডিসি দাড়িয়ে আছেন এই লাইনে।যেকোনো সময় তারা প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপ্রামথাকে আলবিদা জানিয়ে গা ভাসাবেন পদ্ম শিবিরে।


রাজনীতিকরা বলছেন, প্রদ্যুৎ কিশোর তার দল তিপ্রামথাকে কত দিন ধরে রাখতে পারবে তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে।কারণ মথার নেতারা বুঝে গেছেন প্রদ্যুৎ শুধু মাত্র জনজাতিদের ভাবাবেগ নিয়ে খেলা করছেন।বাস্তব অর্থে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড,সাংবিধানিক সমাধান, এডিসিতে অর্থ প্রদান কিছুই হবে না। সবটাই প্রদ্যুৎ কিশোরের আই – ওয়াশ। এই কারণেই প্রদ্যুৎ কিশোরের উপর আস্থা হারাচ্ছে জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। জনতার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় নেতাদের। এমডিসি থেকে শুরু করে ভিলেজ স্তরের নেতাদের।


তারা সাধারণ জনজাতিদের বলতে পারছে না, গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড কখনো হবে না। স্বপ্ন – স্বপ্নই থেকে যাবে। এটা যে ছিলো প্রদ্যুৎ কিশোরের রাজনৈতিক স্টান্ট। স্বাভাবিক ভাবেই স্থানীয় নেতারা নিজেদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখার জন্য এখন প্রদ্যুৎ কিশোরের হাত ছেড়ে বিজেপির পদ্ম পাঁপড়িতে ধরে নতুন করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করতে চাইছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *