ডেস্ক রিপোর্টার,১১ফেব্রুয়ারি।।
একের পর এক হাস্যকর ঘটনা ঘটছে তৃণমূল কংগ্রেসে। এখনো তৃণমূল মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি।তার মধ্যেই কয়েকটি উপদলে বিভক্ত ঘাসফুল শিবির। এখন পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রদেশ কমিটি গঠন করতে পারেনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।ভেঙে দেওয়া হয়েছে প্রদেশ স্টিয়ারিং কমিটি।দলের মধ্যে নেই কোনো উপযুক্ত মুখ।এই পরিস্থিতিতে সুবল ভৌমিকের বিরুদ্ধে দলে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।এই কারণেই দলের বড় অংশের নেতৃত্ব সুবলের উপর ক্ষুব্ধ।তারা সুবলকে ছাড়াই করছেন বৈঠক।আবার সুবলও তার অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলকে সাজানোর চেষ্টা করছেন।
তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, কৈলাসহর টিলা বাজারে আগে থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের অফিস রয়েছে।গত বছর আশীষ লাল সিং সহ বঙ্গ নেতৃত্বরা সেখানে গিয়ে অফিসটি উদ্বোধন করেছিলেন।টিলাবাজার সহ আশপাশ এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের একটা ভীত রয়েছে। কর্মীদের অভিযোগ, বুধবারে তার কয়েকজন লোককে নিয়ে টিলাবাজারে ছুটে যান। এবং তার অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের আরো একটি অফিস উদ্বোধন করেন। তাতে সমস্ত অংশের মানুষের কাছে বিষয়টি হাস্যকর হয়ে উঠেছে। কারণ এক জায়গাতে দুইটি অফিস কেন?এই প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক।
তৃণমূল কর্মীদের কথায়, কৈলাসহর টিলাবাজারে সুবল ভৌমিক তৃণমূল কংগ্রেসের পৃথক অফিস তৈরি করে দলের মধ্যে থাকা বিভাজন সামনে নিয়ে এসেছেন।তিনি দলের সিনিয়র নেতা।আগামী দিনের দলের মুখ।সব মিলিয়ে সুবলের এই ভূমিকা নিয়ে জোর চর্চা চলছে কর্মীদের মধ্যে। সুবল ভৌমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, টিলাবাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম অফিসটি যারা পরিচালনা করছেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই তিনি দ্বিতীয় অফিস উদ্বোধন করেছেন।সুবল ভৌমিকের এই ভূমিকা সন্দেহের চোখে দেখছেন কর্মীরা।
অন্যদিকে সুবল ভৌমিকের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ নেতা-কর্মী বৃহস্পতিবার পৃথিক ভাবে বৈঠক করেছে। তাদের বৈঠকস্থল ছিলো মামুন খানের বাড়িতে।বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীরা সবাই এক সঙ্গে জড়ো হয়ে এই বৈঠক করেছেন।তারা আগামী কিছুদিনের মধ্যে সুবল ভৌমিকের বিরুদ্ধে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে খবর।
