
ডেস্ক রিপোর্টার, ২৮ফেব্রুয়ারি।।
দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। ঠিক তার আগে প্রদেশ কংগ্রেসের সংসারে ফের ধাও ধাও করছে আগুন। সুদীপ – আশীষের কাছে দলের ডেটিকেটেড কর্মীদের গুরুত্ব কতটা? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে দুর্দিনে কংগ্রেসের ঝান্ডা হাতে নিয়ে রাজনীতি করা কর্মীরা। দলের ডেটিকেটেড কর্মীরা যে সুদীপ – আশীষের কাছে মলিন কলাপাতা তা পুনরায় প্রমাণ করলেন তারা ।আর তাদের কারণেই নিঃস্ব হয়ে যাওয়া কংগ্রেস আরো নিঃস্ব হচ্ছে, বলেই মনে করছেন কংগ্রেসের অতি বড় সমর্থকরাও।
সম্প্রতি প্রদেশ যুব কংগ্রেসে সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কংগ্রেসের যুব ব্রিগেডের মাথায় বসানো হয়েছেন নীলকমল সাহা। তৃণমূল থেকে তার কংগ্রেসে আগমন। সুদীপ – আশীষের
এই সিদ্ধান্ত কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারে নি কংগ্রেসের ডেটিকেটেড কর্মীরা।কারণ ত্রিপুরা রাজ্যের তৃণমূল নেতাদের দূরবীন দিয়ে খোঁজে পাওয়া দুষ্কর।সাধারণ মানুষের কাছে তাদের কোনো গ্রহন যোগ্যতা নেই। নেতা হিসাবেও পরিচিত মুখ নয়। মূলত তাদেরকে রাজ্য রাজনীতির দশ নম্বর গ্রেডের নেতা হিসাবে ধরা হয়ে থাকে।২৩- র নির্বাচনে মমতার দলের কি অবস্থা ছিলো? এটা সবাই জানেন।

ছন্নহীন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আসা নীলকমলকে কেন যুব কংগ্রেসের সভাপতি করা হলো? রাজ্য রাজনীতিতে নীল কমলকে কত জন জানেন? তার পেছনে কত জন লোক আছে? তার রাজনৈতিক গ্রাফই বা কি? ২১- র পুর ভোটে নীলকমল আগরতলা পুর নিগমের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন।২৩- র নির্বাচনে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সোনামুড়া কেন্দ্র থেকে।দুইটি নির্বাচনেই নীলকমল পরাজিত হয়েছেন। ভোট পেয়েছিলেন কতো শতাংশ? এটা নীলকমল নিজেই বলতে পারবেন। এরকম একজন নেতাকে যুব কংগ্রেসের মাথায় বসিয়ে দেওয়া হলো কেন?এটা কি পর্দার অন্তরালে অন্য কোনো নতুন খেলা, নাকি ভঙ্গুর কংগ্রেসের নেতার আকাল?এই সংক্রান্ত প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ কংগ্রেস সমর্থকরা।

কংগ্রেস কর্মীদের বক্তব্য, দলে ডেটিকেটেড যুব কর্মীদের অভাব নেই। তারা নিঃসন্দেহে বসতে পারেন যুব কংগ্রেসের সভাপতির চেয়ারে।কিন্তু গোপনে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব দলের ডেটিকেটেড কর্মীদেরই ব্রাত্য রেখে দিয়েছেন। প্রকারন্তে অপমান করা হয়েছে দলের নিষ্ঠাবান কর্মীদের।

সম্প্রতি প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব ঘরোয়া বৈঠকে গলা ফাটিয়ে বলেছিলেন, অন্য কোনো দল থেকে কোনো নেতা কংগ্রেসে যোগ দিলে তাকে সংগঠনের মাথায় বসানো হবে না। কিন্তু নেতারা তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি তারা রাখতে পারলেন না। তারা ঘুর পথে অস্তিত্বহীন তৃণমূল থেকে আবর্জনাদের এনেই কংগ্রেসে ফের ভিড় বাড়াচ্ছে। কিন্তু এই সমস্ত নেতাদের দিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে কংগ্রেস কিছুই করতে পারবে না। এটা বালাই বাহুল্য।

মঙ্গলবার দিল্লিতে এআইসিসির কার্যালয়ে গিয়ে ফের কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন আইনজীবী পীযুষ কান্তি বিশ্বাস। তিনিও তৃনমূলের সঙ্গে সংসার করে পুনরায় এসেছেন কংগ্রেসে।আইনজীবী পীযুষ কান্তি বিশ্বাস রাজনৈতিক নেতা হিসাবে কতটা সফল? বিলক্ষণ জানেন রাজ্যের মানুষ। তবে তিনিও এক সময় মৃত প্রায় প্রদেশ কংগ্রেস অস্থায়ী সভাপতি ছিলেন।