ডেস্ক রিপোর্টার,৭জানুয়ারি।।
রাজ্যে এসে ২৩-র বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুঝিয়ে দিলেন আসন্ন বিধানসভা ভোটে বিরোধীদের এক ইঞ্চি জমিও দেবেন না তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে পুর ও নগর ভোটের মতো ২৩-র মহারণেও বিরোধীদের ক্লীন সুইপ করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী।
ফের রাজ্যে মসনদের ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে পুরোদমে নেমে পড়েছে বিজেপি।মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব জানিয়েছেন,আগামী ১০জানুয়ারি রাজ্যে আসছেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।এবং আগামী ২১জানুয়ারি রাজ্যে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
নতুন বছরের গোড়াতেই বিজেপি’র তিন হেভিওয়েট নেতার রাজ্য সফর থেকে স্পস্ট সমীকরণ পাওয়া যাচ্ছে ২৩-র নির্বাচনের।নরেন্দ্র মোদী, জেপি নাড্ডা ও অমিত শাহ বিজেপি’র তিন ‘লিজেন্ডে’র ত্রিপুরা সফর ইঙ্গিত করছে ২৩-র মহারণ নিয়ে তারা কতটা “সিরিয়াস”। প্রদেশ বিজেপি’র সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রাজ্যে এনে সাধারণ মানুষের কাছে ডাবল ইঞ্জিনের সুনির্দিষ্ট বার্তা দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখ থেকেই দেশজুড়ে বিজেপি’র সাফল্যের খতিয়ান এবং রাজ্যের জন্য কেন্দ্রের দায়িত্ববোধ স্পস্ট করতে চাইছে বিজেপি।
পাঞ্জাবের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয় আটকের ঘটনা কেন্দ্র করে গোটা দেশজুড়ে বিজেপি আন্দোলনের ঢেউ তুলেছে।ত্রিপুরাতেও ব্যতিক্রম নয়। রাজ্যে কংগ্রেসের অবস্থা প্রায় অস্তমিত হলেও ” ক্ষয়িষ্ণু” শক্তিকে জমি ছাড়তে নারাজ বিপ্লব দেবের নেতৃত্বাধীন বিজেপি।এই কারণেই বিরোধী শক্তিকে পা দিয়ে পিষিয়ে দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার মশাল মিছিলে মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যরা শামিল হয়েছিলেন। রাজনীতিকরা বলছেন, বিজেপি’র এই আন্দোলন ২৩-র আগে দলের কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বয়ে আনবে “নতুন এক বার্তা”।
