
ডেস্ক রিপোর্টার, ২৭ডিসেম্বর।।
খুব শীঘ্রই সরকারে যোগ দেবে প্রধান বিরোধী দল তিপ্রামথা! গুঞ্জন রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে। কবে যোগ দেবে? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই দিতে পারবেন মথার নেতৃত্ব। খবর অনুযায়ী, প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত।বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে এই সংক্রান্ত বিষয়ের আলোচনায় নাকি চলছে শেষ তুলির টান। এই বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। তবে ২৪- র ভোটের আগেই বিজেপি – আইপিএফটি জোট সরকারে বোধন হবে প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপ্রামথার। এই সমীকরণ প্রায় নিশ্চিত।

সরকারে যোগ দেওয়ার বিষয় নিয়ে তিপ্রামথার নেতৃত্বের মধ্যেও চলছে দ্বিধা দ্বন্দ্ব। একই ভাবে প্রদেশ বিজেপির নেতৃত্বের মধ্যেই আছে মতানক্য। তারপরও রাজনীতির জল ধাবিত হচ্ছে সরকারে যোগ দেওয়ার দিকেই। রাজ্য রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করে রাজনীতিকরা বলছেন, তিপ্রামথা সরকারে যোগ দিলে নিঃসন্দেহে লাভবান হবে বিজেপি। আগামী দিনে বিরোধী শূন্য হয়ে পড়বে রাজ্য।বিধানসভার নিয়ম অনুযায়ী, সিপিআইএম পূনরায় বিরোধী দলের তকমা পাবে ঠিকই। কিন্তু আক্ষরিক অর্থেই বিরোধীদের হাড় গুড় ভেঙ্গে যাবে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, মথা সরকারে যোগ দিলে তাদের পরিণতি হবে আইপিএফটির মতো।২৪- র লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি হাসতে হাসতে ছিনিয়ে নেবে রাজ্যের দুইটি আসন। এরপরই তিপ্রামথাকে ধীরে ধীরে বিজেপি গ্রাস করে নেবে।১৯- র লোকসভা নির্বাচনের পর পরই একই অবস্থা হয়েছিলো আইপিএফটির। যদিও আইপিএফটি ১৯- র ভোটে পৃথক ভাবে লড়াই করেছিলো। কিন্তু কিছুই করতে পারে নি। বরং দুই আসনেই প্রার্থীর জামানত বাজে আপ্ত হয়েছিল।

রাজনীতিকদের যুক্তি, তিপ্রামথা সরকারে যোগ দিলে ধীরে ধীরে তৃণমূল স্তরে ভাঙন ধরবে! তারা পা দেবে বিজেপির পাতা ফাঁদে। তখন প্রদ্যুৎ কিশোরের গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের স্লোগান একেবারেই ফিকে হয়ে যাবে। জনজাতিরাও বুঝতে পারবে
প্রদ্যুৎ ও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে পর্দার আড়ালে চলতে থাকা সমীকরণ। তখন তার বুদ বুদ গন্ধও বেরিয়ে আসবে প্রকাশ্যে।প্রদ্যুৎ কিশোর কিন্তু এই গন্ধ চাপা দিয়ে রাখতে পারবেন না। স্বাভাবিক ভাবেই জোর ধাক্কা লাগবে তার জনপ্রিয়তাই।তখন প্রতিকূল পরিবেশে আবিষ্ট হয়ে যাবে গোটা তিপ্রামথা পরিবার।এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য প্রদ্যুতের কাছে কিছুই থাকবে না। একেবারে মুছড়ে যাবে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের ফেরী ওয়ালারা!অর্থাৎ আগামী দিনে তিপ্রামথার ভাগ্য আকাশে যে করুন পরিনতির অপেক্ষা করছে, তা হলফ করে বলা যায়।