ডেস্ক রিপোর্টার,৩০এপ্রিল।।
রাজ্য কমিটি গঠনের পর থেকে তুঙ্গে উঠছে তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ কাজিয়া। বিষিয়ে উঠছে প্রদেশ তৃণমূলের ঘরোয়া পরিবেশ। দলের একটা বড় অংশ নব গঠিত কমিটিকে মেনে নিতে পারছে না। তাদের বক্তব্য, দলের নিষ্ঠাবান কর্মীদের ব্রাত্য রেখে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশীষ দাস বা আশীষ লাল সিংকে দেওয়া হয়নি যোগ্য সন্মান।শুধু মাত্র দলবদলুদের উপর আস্থা রেখেছে দলের থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক।
প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, শুক্রবার কমিটি ঘোষণার সময় সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন না আশীষ দাস ও ভৃগুরাম রিয়াং। আশীষ লাল কলকাতায় ছিলেন।কিন্তু তাকে আসার জন্য বলা হয়নি। ক্ষোভের কারণেই প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ দাস ও ভৃগুরাম রিয়াং যাননি সাংবাদিক বৈঠকে। এই বিষয়ে প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি,সরাসরি কিছূ না বললেও ঠারেঠুরে বুঝিয়ে দেন নিজের ক্ষোভের কথা।

প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের নবগঠিত কমিটির বৈঠক হবে রবিবার। আগরতলা প্রেস ক্লাবে হবে বৈঠক।কিন্তু এই বৈঠকে যাওয়ার জন্য প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ দাসকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। অর্থাৎ আশীষ লাল সিংয়ের মতো আশীষ দাসকে সাইড বেঞ্চে রেখেই এগিয়ে যেতে চাইছে তৃণমূল। প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ দাস ‘জনতার মশাল’কে জানিয়েছেন,”রবিবারের বৈঠকের জন্য তাকে ডাকা হয়নি। তাতে অবশ্যই আশীষ ভেঙে পড়েন নি। দলের একটা বড় অংশকে নিয়ে তিনি নিজের সরকারী আবাসে বৈঠক করবেন।”

আশীষ দাস বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংসারে তিনি ব্রাত্য। তবে তিনি পিছিয়ে থাকার পাত্র নন।নিজের মতো করে নতুন ভাবে রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ক্যানভাস আকতে শুরু করেছেন তিনি। শুক্রবার আশীষ দাসকে দলীয় নেতৃত্ব দুই বার ফোন করেছিলেন। এরপর থেকে নেতৃত্ব তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেন নি। একথা জানিয়েছে আশীষ দাসের অনুগামীরা।এই মুহূর্তে আশীষ দাস তৃণমূল কংগ্রেস থেকে দূরে থাকলে আক্ষরিক অর্থে ঘাসফুল শিবিরের ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন রাজনীতিকরা।এর একটা বিরূপ প্রভাবও পড়বে। মানুষের কাছে যাবে ভুল বার্তা। আমজনতার কাছে আশীষ দাসের ইমেজ যথেষ্ট ভালো। তিনি বিজেপিতে থেকে একই লড়াই করেছেন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে বুক ফুলিয়ে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আশীষের বিরুদ্ধে নেই কোনো দুর্নীতির অভিযোগ। কয়েকবার দল পাল্টানোর রেকর্ডও নেই তার। সব মিলিয়ে আশীষ দাস এখনো রাজ্য রাজনীতির স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন একজন নেতা। তাই তৃণমূলে আশীষ ব্রাত্য থাকলে মানুষও আস্থা হারাবে ঘাসফুলের প্রতি। বলছেন রাজনীতিকরা। তৃণমূল তাদের সংসারের এই অশান্তির পরিবেশ কিভাবে সামাল দেয় এটাই এখন দেখার বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *